সময় বয়ে চললেও সোনার ধাতু হিসাবে সোনার জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি। এই ধাতু ব্যবহারের সূত্র লুকিয়ে আছে প্রাচীন সভ্যতার সামাজিক বৃত্ত এবং অর্থনীতিতে। তবে এই সোনা মিশ্রিত স্কিন কেয়ার প্রডাক্ট আদৌ কতটা গ্রহণযোগ্য সেটা ভেবে দেখার সময় এসেছে।
আরও পড়ুন- আজ কৌশিকী অমাবস্যা; সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই নিয়ম মানলেই খুলে যাবে সৌভাগ্যের দ্বার
advertisement
সোনা কখনও পুরনো হয় না
ত্বকের বয়স রোধ করার ক্ষমতা আছে সোনার। অর্থাৎ ধাতু হিসাবে সোনা হল বার্ধক্যবিরোধী। সোনার কণা খুব সহজে ত্বকের গভীরে পৌঁছে যায় এবং ত্বকের কোষের টেক্সচার সাজিয়ে তাকে মেরামত করে নতুন জীবন দান করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সোনা মেশানো পণ্য ব্যবহার করলে ত্বকে কোলাজেন গঠন উদ্দীপিত হয়। এটি ত্বকের গঠন বজায় রাখে এবং স্থিতিস্থাপকতা ধরে রেখে ত্বক ঝুলে যাওয়া রোধ করে।
সোনা ত্বক শীতল রাখে
সোনাতে প্রদাহরোধী গুণ সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ত্বকের লালভাব, ব্রণ থেকে জ্বালা কমাতে পারে এবং হাইপারপিগমেন্টেশন থেকে রক্ষা করতে পারে। স্বর্ণ-উদ্দীপিত অতিরিক্ত অক্সিজেন ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে পারে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। এই অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি প্রভাবের জন্য সোনা চোখের নিচে ফোলাভাবও কমাতে পারে।
আরও পড়ুন- আর নয় কেষ্ট, এবার তিন বিধানসভার সংগঠন দেখবেন পূর্ব বর্ধমান নেতৃত্ব
সোনা ত্বক উজ্জ্বল করে
সোনা আক্ষরিক অর্থেই ত্বকে উজ্জ্বল আভা নিয়ে আসে। মাইক্রোনাইজড সোনার ফ্লেক ত্বকে আলো প্রতিফলিত করে। তখন ত্বক আরও অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখায়। আনন্দের বিষয় হচ্ছে এই যে ত্বকের উপর সোনার এই প্রভাব ভীষণভাবে চোখে পড়ে। সোনা ত্বকের টোনে সামঞ্জস্য এবং তারুণ্য নিয়ে আসে।
প্রত্যেক ভাল জিনিসেরই কিছু না কিছু নিজস্ব সমস্যা থাকে। সোনা মেশানো পণ্যের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যেতে পারে। যেমন সোনার দাম অত্যন্ত বেশি হওয়ায় সোনা মেশানো পণ্যের দামও বেশি হবে। অনেক সময়ে আবার সোনা মেশানো পণ্যে অন্য উপাদান থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই বিকল্প হিসাবে গ্রিন টি, হোয়াইট গ্রেপ সিড, ভিটামিন সি দেওয়া প্রডাক্ট ব্যবহার করলেও লাভবান হওয়া সম্ভব।
