কাঁচা দুধ খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর:
বিশ্বাস করা হয়, কাঁচা দুধ স্বাস্থ্যকর। কাঁচা দুধ থেকে মেলে এনজাইম এবং তা স্বাস্থ্যকর প্রোটিনে সমৃদ্ধ। শরীর এ থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে। তবে দুধে থাকা জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতেই এটা ফোটানো হয়। ফোটানো দুধে অনেকের অ্যালার্জি হয়। শুধু তাই নয়, এটা কার্ডিওভাসকুলার রোগের কারণও হতে পারে।
advertisement
দুধ কতটা উপকারী:
যুগ যুগ ধরে দুধ পানের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা হয়ে আসছে। কিন্তু অপকারিতা কী? অস্বীকার করার উপায় নেই যে দুধ প্রাকৃতিকভাবে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন বি, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-র মতো পুষ্টিতে ভরপুর। তা ছাড়া, এটা প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা হাড়ের স্বাস্থ্য, কোষ এবং টিস্যু পুনর্জন্ম, মস্তিষ্কের উন্নতিতে সাহায্য করে। পেশির কার্যকারিতা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। কিন্তু সঠিক ভাবে দুধ পান করলে তবেই তো উপকার মিলবে!
আরও পড়ুন : সবুজের তুলনায় গোলাপি অ্যালোভেরা কি বেশি উপকারী? জানুন চুল ও ত্বকের যত্নের দরকারি কথা
দুধ পানের সঠিক পদ্ধতি :
শেক, স্মুদি, চা, ডেজার্ট তৈরিতে দুধের ব্যাপক ব্যবহার হয়। তবে দুধ পানের সঠিক উপায়, একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। কিন্তু অনেকেই আছেন যাঁরা কাঁচা দুধ খেতে পছন্দ করেন। এটা ফিল্টার করা হয় না তাই দুধের বিশুদ্ধতম রূপ এটাই। কিন্তু কাঁচা দুধ খাওয়া কতটা নিরাপদ? বহুদিনের বিশ্বাস, কাঁচা দুধ অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। শুধুমাত্র ভারতেই নয়, বিশ্বব্যাপী কোনও প্রক্রিয়াকরণ ছাড়াই পশুর দুধ পান করাকে পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ বলে মনে করা হত। কিন্তু ইদানীং ধারণাটা বদলে গিয়েছে। এখন কাঁচা দুধ পান করাকে আর নিরাপদ বলে বিশ্বাস করা হয় না। কাঁচা দুধ পান করলে কী হয়?
আরও পড়ুন : দাম্পত্যে কেন ঢোকে পরকীয়ার ঘুণপোকা, জানুন বিয়ে বাঁচাতে মনোবিদ কী বলছেন
কাঁচা দুধ পান:
কাঁচা দুধ পান করা ক্ষতিকর মনে করা হয়। কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু থাকতে পারে যেমন লিস্টেরিয়া, ইকোলি, কক্সিয়েলা, সালমোনেলা, ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর, ইয়ারসিনিয়া, যা স্বাস্থ্য এবং হজমের বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে। পশুর শরীরে সংক্রমণ থাকলে কাঁচা দুধ পান মারাত্মক হতে পারে। বমি বমি ভাব, হজমজনিত রোগের কারণ হতে পারে এবং একটি গবেষণা অনুসারে গুইলেন ব্যারে সিন্ড্রোম এবং হেমোলিটিক ইউরেমিক সিনড্রোম হতে পারে।