প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০টি ঐতিহ্যবাহী স্থানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যে জায়গাগুলিকে দূর দূরান্তের দেশ-বিদেশের পর্যটকের জন্য হেরিটেজ ওয়াক হিসাবে তুলে ধরেছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে এই হেরিটেজ ওয়াক করার সময় যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য নিরাপত্তারক্ষীদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কারণ ক্যাম্পাসে পাঠভবন ও বিভিন্ন ক্লাসের পড়ুয়াদের হস্টেলও রয়েছে। তাই পর্যটকেরা যাতে কোনও ভাবেই খোলামেলা পরিবেশে পঠন-পাঠনে কোনও অসুবিধা সৃষ্টি না করে সেদিকেও জোর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াধে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর হেরিটেজ কমিটি শান্তিনিকেতনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বঐতিহ্য হিসাবেই ঘোষণা করে।
advertisement
প্রত্যেক রবিবার ৫ দফায় ‘হেরিটেজ ওয়াক ‘ চালু থাকবে বোলপুর বিশ্বভারতীতে। পর্যটকদের রবীন্দ্র ভবন থেকে টিকিট কেটে তারপরে প্রবেশ করতে হবে। খুব শিগগিরই চালু হবে অনলাইন টিকিটের ব্যবস্থাও। তবে এবার প্রশ্ন প্রবেশ মূল্য ঠিক কত টাকা? জানা গেছে রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালার টিকিট মূল্য – ১০০ টাকা, গাইড নিয়ে গেলে ২৫০ টাকা। রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালা থেকেই ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার টিকিট মিলবে।শান্তিনিকেতন ঘুরে দেখার টিকিট ৩০০ টাকা। পড়ুয়াদের কোনও ব্যাচ এলে মাথাপিছু ৫০ টাকা। একা কোনও পড়ুয়া এলে ১৫০ টাকা। বিদেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রে টিকিট মূল্য ১০০০ টাকা। পায়ে হেঁটেই ঘুরতে হবে সকলকে ৷
আরও পড়ুন : প্রথম বার গড়াল এসি লোকালের চাকা! কখন কোন স্টেশন থেকে পাবেন বাতানুকূল লোকাল? জেনে নিন
এক সঙ্গে ২৫ জনের একটি করে পর্যটকদের ব্যাচকে ঘুরে দেখানো হবে৷ তবে এটা তো গেল টাকা পয়সার কথা এবার প্রশ্ন কোন পথে কী কী দেখতে পারবেন পর্যটকরা! মূলত রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালার বিপরীতের গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ,ছাতিমতলা থেকে শুরু হবে ভ্রমণ। প্রথমে পর্যটকেরা পাঠভবন চত্বর দেখতে পারবেন। এরপর যেতে হবে মাধবীবিতান, ঘণ্টাতলা থেকে ঐতিহ্যবাহী গৌরপ্রাঙ্গণ,সেখান থেকে চৈতি বাড়ি হয়ে চিনাভবন,হিন্দি ভবন এরপর ফের ঘণ্টাতলার সামনের রাস্তা দিয়ে এসে শালবীথি হয়ে আম্রকুঞ্জের জওহরবেদি দেখার সুযোগ। এরপর ক্যাম্পাসের সবচেয়ে প্রাচীন শান্তিনিকেতন গৃহ দেখতে পাবেন পর্যটকরা। সব শেষে ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ। এই গৃহ দেখে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে যেতে হবে পর্যটকদের।