এই পর্বে বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়ালকে চিঠি দিয়েছেন এক পাঠিকা তাঁর বয়ফ্রেন্ডের এই খারাপ স্বভাবটির কথা জানিয়ে। তিনি লিখেছেন যে এই ভদ্রলোক আকছার, এমনকী অন্তরঙ্গ মুহূর্তেও তাঁকে নানা অসম্মানজনক গালি দিয়ে থাকেন। দিনের পর দিন এটা চলতে থাকায় এক সময়ে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল। বেশ কিছু মাস হল আবার তাঁরা ম্পর্কে ফিরেছেন। শুরুর দিকে ওই ব্যক্তি কিছু দিন নিজেকে সংযত করে রেখেছিলেন। কিন্তু এখন আবার ব্যাপারটা আগের জায়গায় ফিরে গিয়েছে!
advertisement
পল্লবী জানিয়েছেন যে জনৈক মানুষের ভাষা তাঁর স্বভাবের প্রতিফলন। যাঁরা অন্তরঙ্গ মুহূর্তেও গালাগালি করেন, তাঁদের একটি বিশেষ মানসিকতা থাকে। সেটি হল অপর পক্ষকে সব রকম ভাবে দমন করে রাখা। অপর পক্ষকে খারাপ কথা বলার মধ্যে দিয়েই যৌন আনন্দ খুঁজে পান তাঁরা। নিজেদের মনে করেন সুপিরিয়র, ফলে অন্য পক্ষকে অপমান করতে তাঁদের আটকায় না। এই ব্যাপারটা বাড়তে বাড়তে এক সময়ে গায়ে হাত তোলার দিকেও যেতে পারে। অর্থাৎ তখন আর শুধু গালাগালিতে ব্যাপারটা সীমিত থাকে না, এই ধরনের ব্যক্তিরা খারাপ ভাষা প্রয়োগের পাশাপাশি অন্যকে শারীরিক ভাবেও অপদস্থ করে যৌনসুখ পাওয়ার চেষ্টা করেন।
তাই যাঁদের সঙ্গে এরকম হয়, তাঁদের সবাইকে পল্লবী সবার আগে বিষয়টি নিয়ে অন্য পক্ষের সঙ্গে একটা আলোচনায় বসতে বলছেন। জানাতে বলছেন খোলাখুলি যে কোন জায়গায় তাঁদের অসুবিধা হচ্ছে! অনেক সময়ে একটা সুষ্ঠু আলোচনা সম্পর্কের মান উন্নয়নে কাজে আসে, খারাপ সম্পর্কও মধুরতায় পরিণতি পায়। কিন্তু এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে বলছেন পল্লবী। যাঁদের স্বভাব অন্যকে অপদস্থ করা, তাঁরা সহজে সঙ্গী/সঙ্গিনীর যুক্তি গ্রাহ্য করতে চাইবেন না। বরং, এর মধ্যে যে ভুল কিছু নেই, সেটা প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন। সে রকম হলে সম্পর্ক আর টিঁকিয়ে রাখা উচিৎ হবে কি না, সেটা ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে হবে। কেন না, এই ধরনের পরিবেশ সম্পর্ককে কেবল বিষাক্তই করে তুলবে, তা ভবিষ্যতে কোনও আনন্দ দেবে না।
Pallavi Barnwal