কিন্তু কেন নগ্ন ছবি পাঠানোর (Sending Nudes) এই তাগিদ? মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষজন বিভিন্ন কারণে নগ্ন ছবি পাঠাতে পারেন, কিছু যৌন কারণে, কিছু ব্যক্তিগত, কিছুটা আসক্তি থেকে এবং কিছুটা একঘেয়েমি বা একাকীত্বের কারণেও। বিশেষত মহামারী চলাকালীন শারীরিক নৈকট্যের অভাবের কারণে অল্পবয়সী এমনকী প্রাপ্তবয়স্করাও ঘনিষ্ঠতা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে নগ্ন ছবি (Sending Nudes) আদান প্রদান করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- নিয়ম করে রোজ খান এলাচ, শুধু স্বাদ বাড়ানোর টোটকা নয়, স্বাস্থ্যগুণেও ভরপুর এই মশলা
মহামারী চলাকালীন ভার্চুয়াল ডেটিংয়ের (Virtual Dating) পরিমাণ বেড়েছে। সেক্সটিং (Sexting) এবং অনলাইনে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়ার অভ্যাসও বেড়েছে। কিন্তু সম্মতি ছাড়াই ছবি বা ভিডিও শেয়ার করা হলে তা ভয়ঙ্কর সমস্যা হয়ে দেখা দেয়।
নগ্ন ছবি পাঠানোর অন্ধকার দিক
নগ্ন ছবি পাঠানোর (Sending Nudes) পরিণতি অনেক সম্পর্কের ক্ষেত্রেই অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে। সবসময় পরিণতি সম্পর্কে আগে ভেবে নেওয়া দরকার। অপর ব্যক্তি প্রতিশ্রুতি দিতেই পারেন যে তারা কাউকে এই ছবি দেখাবেন না, হতেও পারে তারা হয়তো মিথ্যা বলছেন। অন্তরঙ্গ ছবি (Sending Nudes) পাঠানোর আগে বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে:
যে ব্যক্তিকে নগ্ন ছবি পাঠানো হচ্ছে সে এই ছবি ব্যবহার করে প্রেরককে হুমকি দিতে পারে এবং অন্য দাবিতে ব্ল্যাকমেল করতে পারে।
নগ্ন ছবি পাঠানো মানেই দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক নিশ্চিত এমন কোনও মানে নেই। একে অপরকে কতটা বিশ্বাস করেন তা প্রমাণ করার উপায় হিসাবে নগ্ন ছবি (Sending Nudes) পাঠাবেন না।
সুস্থ সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সম্মতির উপর নির্ভর করে, ব্ল্যাকমেলিংয়ের উপর নয়।
যদি নগ্ন ছবি না পাঠানোয় কেউ সম্পর্ক ভেঙে দেন বা অবজ্ঞা করতে শুরু করেন, তবে জেনে রাখুন সম্পর্কটি আদৌ স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে।
মনে রাখবেন, নগ্ন ছবি পাঠানোর অনেক পরে, কোনও তর্ক বা ব্রেকআপের সময় সেগুলিকে হাতয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অনেকে।
প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য যৌন বিকৃতি অস্বাভাবিক নয়। তাই সতর্ক থাকুন।
আরও পড়ুন- ঘুম নেই চোখে, মন মেজাজ বিষণ্ণ? এই ভারতীয় সুগন্ধগুলি এনে দেবে গভীর প্রশান্তি!
কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন
প্রথম কাজ হল আইনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এফআইআর দায়ের করা। অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য একজন অ্যাটর্নির সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন না ঘটে তা প্রতিরোধে আপনাকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই ভালো। আপনি যদি নিজে সমস্যার মোকাবিলা করতে না পারেন তবে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।