তবে পর্দা শুধু অন্দরসাজ নয়, ঘরকে ধুলোবালি এবং রোদ থেকেও রক্ষা করে। তাই পর্দা লাগানোর সময় কোন ঘরে পর্দর ব্যবহার করা হচ্ছে, ঘরের আকার, আসবাব, ঘরের রঙ এসবও মাথায় রাখতে হবে। এখানে বিভিন্ন ঘরে ব্যবহৃত বিভিন্ন রকমের পর্দার সাতসতেরো নিয়ে আলোচনা করা হল।
প্যানেল পেয়ার: এটা ক্লাসিক পর্দার উদাহরণ। এই পর্দার দুটো ভাগ। ডেকরেটিভ রড বা কাঠের প্যানেল থেকে জানলার দু’পাশে ঝোলে। একেবারে মেঝে পর্যন্ত। সাধারণত বেড রুম বা শোবার ঘরেই এই ধরনের পর্দা বেশি ব্যবহার করা হয়।
advertisement
সিঙ্গল প্যানেল: এই পর্দা লম্বায় খুব একটা বড় হয় না। একটাই পর্দা ঝোলানো থাকে গোটা জানলায়। তবে অনেক সময় দু'ভাগে ভাগ করে দেওয়াও হয়। এই পর্দা শোবার ঘর কিংবা বসার ঘরে ব্যবহার করা যায়।
উইন্ডো সিট: এই পর্দার কাপড় সাধারণত খুব পাতলা হয়। জানলাকে আড়াল দেওয়াই এর কাজ। তবে বেশ লম্বা। একেবারে জানলার উপর থেকে মেঝে ছুঁইছুঁই। ধুলো, বালি আটকানোর উদ্দেশ্যেই উইন্ডো সিটের ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: এবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিক্ষোভকারীদের দখলে! রাজাপক্ষের পদত্যাগের দিকে তাকিয়ে শ্রীলঙ্কা
ভ্যালেন্স: খাটো ঝুলের এই পর্দা একেবারে জানলার মাপ মতো হয়। মূলত ঘর সাজানোর উদ্দেশ্যেই লাগানো হয় এই পর্দা। তাই এই ধরনের পর্দার চাকচিক্য থাকে বেশি। তবে এই ধরণের পর্দায় ঘরে আলো বাতাস খেলে বেশি।
কিচেন উইন্ডো: এই পর্দা রান্নাঘরে লাগানো হয়। জানলার মাঝ বরাবর থাকে রড। সেখান থেকে ঝোলে পর্দা। মানে জানলার অর্ধেক অংশ আড়াল করে। এই পর্দারো দুটো ভাগ থাকে।
উইন্ডো স্কার্ফ: গোটা জানলা জুড়ে একটাই লম্বা ফ্যাব্রিকের পর্দা ঝোলে। লুটোপুটি খায় মেঝেতে। এটা ঘরকে একটা ড্রামাটিক লুক এনে দেয়। এক্ষেত্রে হালকা রঙের পর্দাই ব্যবহার করা হয়। সাধারণত শোবার ঘরেই পর্দা টাঙানো হয় উইন্ডো স্কার্ফ।
আরও পড়ুন: এবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিক্ষোভকারীদের দখলে! রাজাপক্ষের পদত্যাগের দিকে তাকিয়ে শ্রীলঙ্কা
শিয়ার: এই পর্দাগুলো দেখতে খুব সুন্দর। দু'ভাগে পাতলা সুতির কাপড় ব্যবহার করা হয়। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গরমের সময় ঘরকে আরাম দিতে এই ধরনের পর্দা খুবই উপযোগী। মূলত একরঙা হয়। বসার ঘরেই এই ধরনের পর্দা বেশি ব্যবহার করা হয়।
ব্ল্যাকআউট: এই পর্দা মোটা কাপড়ের হয়। বাইরের রোদকে ঘরের ভিতরে ঢুকতে না দেওয়াই এই ধরনের পর্দা টাঙানোর মূল উদ্দেশ্য। তাই এর নাম ‘ব্ল্যাকআউট কার্টেন’। জানলা থেকে একেবারে মেঝে পর্যন্ত ঝোলে এই পর্দা।