করোনা মহামারীর(Coronavirus Pandemic) কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ভারতে সমস্ত স্কুল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল (School Reopening)। বর্তমানে স্কুলবন্ধের প্রায় ৬০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। ইউনেস্কোর মতে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দিন ধরে ভারতে স্কুল বন্ধ (Schools In India) রয়েছে। এখানে ৮২ সপ্তাহ বা দেড় বছর স্কুল বন্ধ ছিল অর্থাৎ মার্চ ২০২০ থেকে অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত।
advertisement
আরও পড়ুন : সন্তান অটিজমে আক্রান্ত নয় তো? কী করে বোঝা যাবে?
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সহ ডাক্তারদের কেউই আমাদের বলেননি যে কোভিড-১৯ ভাইরাস শিশুদের জন্য মারাত্মক। এখন পর্যন্ত, করোনা মহামারীর তিনটি তরঙ্গেই শিশুদের মধ্যে কোভিড-১৯-এর হালকা লক্ষণ দেখা গিয়েছে এবং শিশুরা এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থও হয়ে উঠেছে।
বিজ্ঞানী ও ভ্যাকসিন (Covid-19 Vaccine) বিশেষজ্ঞদের মতে, ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য করোনা ভ্যাকসিনের খুব বেশি প্রয়োজন নেই। NTAGI প্যানেলের সদস্য এবং মহামারী বিশেষজ্ঞ ডা. জয়প্রকাশ মুলিল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, তিনি ভারত সরকারকে বলেছিলেন যে শিশুরা সুস্থ এবং আমাদের এখনই তাদের টিকা (Coronavirus Vaccine) দেওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন : দু-বেলা ভাত খেয়েও কিন্তু রোগা থাকা সম্ভব! শুধু মানতে হবে এই কয়েকটি টিপস...
অনলাইন ক্লাস সমাধান নয়
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে সামাজিক, মানসিক এবং জ্ঞানগতক্ষমতা বিকাশ করা যায় না।
আরেকটি সমীক্ষায় (Schools In India) দেখা গিয়েছে যে গড়ে ৯২% শিশু একটি নির্দিষ্ট ভাষায় তাদের দক্ষতা হারিয়েছে এবং ২ থেকে ৬ শ্রেণী পর্যন্ত ৮২% শিশু আগের বছরের তুলনায় নির্দিষ্ট গাণিতিক ক্ষমতা হারিয়েছে। এই গবেষণাটি ১৬,০০০ জন স্কুলশিশুর (School Reopening) উপর করা হয়েছিল। যার মধ্যে ছত্তিসগঢ়, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডের স্কুলগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা
শুষ্ক চোখ, স্থূলতা, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি, খারাপ ঘুম, রাগের সমস্যা এবং কথা বলার বিলম্ব শিশুদের উপর ঘরবন্দী জীবনযাপনের কিছু সুস্পষ্ট প্রভাব।
সমীক্ষার নাম স্কুল চিলড্রেন অনলাইন এবং অফলাইন, যা ২০২১ সালের অগাস্টে হয়েছিল। এতে দেখা গিয়েছে, গ্রামাঞ্চলের ১৪০০টি বিদ্যালয়ে মাত্র ৮ শতাংশ শিশু অনলাইন ক্লাসের সুবিধা পাচ্ছে, যেখানে ৩৭ শতাংশ শিশু পড়াশোনা করছে না এবং অর্ধেকেরও বেশি শিশু অনলাইনে ক্লাস চলাকালীন অল্প কিছু অক্ষর পড়তে পারছে (School Reopening)।
মেয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা
করোনা মহামারীর কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় মেয়েরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ন্যাশনাল রাইট টু এডুকেশন ফোরাম নীতি অনুযায়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি মেয়ে স্কুলছুট হয়েছে।এই ফোরাম সতর্ক করেছে যে মহামারীর কারণে মেয়েদের শিক্ষা আরও প্রভাবিত হবে।