সাধারণত ভাইফোঁটার সময় বোনেরা, তা বোনের বয়স যত কমই হোক না কেন শাড়ি পরতে ভালবাসে। ভাইয়েরাও আসে পাঞ্জাবি পরে। সেই সাজেই এ বার একটু ট্যুইস্ট আনা যেতে পারে।
অনেকেই হয়তো এ দিন পরিবারের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে যাবেন সকালে ফোঁটার অনুষ্ঠান সারা হয়ে গেলে। আবার অনেকে সন্ধ্যায় ভাইফোঁটা দেন, সে ক্ষেত্রেও হয় তো রাতের খাবার খাওয়ার জন্য কোনও রেস্তোরাঁয় যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। বিবাহিত মেয়েরা অনেকেই এ দিন বাপের বাড়ি আসেন ভাই বা দাদাকে ফোঁটা দিতে। তাই সাজ তো একটা বড় বিষয়। বরাবরের মতো সিল্ক বা ভারী শাড়ি নয়, এ বার বরং নতুন কিছু পরে দেখা যেতে পারে। আপাতত বাজার মাতিয়ে রেখেছে রাফল শাড়ির ফ্যাশন। যেন এক রাশ ঝরনার জল। ফলে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার মতো অনুষ্ঠানের জন্য একেবারে আদর্শ।
advertisement
আরও পড়ুন : ঠোঁটে লাগান এই ঘরোয়া উপকরণ! দীপাবলিতে আপনার ঠোঁটের মোহন মায়ায় মুগ্ধ হবেন সকলে
দেখে নেওয়া যাক কিছু অসাধারণ ডিজাইনের রাফল শাড়ি। যা পরলে বিশেষ দিনে বোনটিকে লাগবে একেবারে রাজকন্যার মতো। এমনকী প্রিয় বোনটির জন্য এমন একখানা শাড়ি উপহারও দিতে পারেন উপযু্ক্ত দাদা বা ভাই।
প্রিন্টেড রাফল শারারা শাড়ি
পুরনো ফ্যাশন বারবার ফিরে আসে। যেমন শারারা। হাঁটু পর্যন্ত চাপা পা-জামার নিচে ঢোলা ফ্রিল। আগে এর সঙ্গে কুর্তি পরতেন মহিলারা। অনেকটা সালোয়ার কামিজের মতো। আজকাল শারারা পাওয়া যায় শাড়ির ডিজাইনে। ভাইফোঁটার বিশেষ অনুষ্ঠানে ছাপা রাফল শারারা শাড়ি পরলে একেবারে অনন্য লাগবে। বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টে পাওয়া যায় এ ধরনের শাড়ি। সাধারণত শিফন, মলমলের মতো হালকা কাপড়ে তৈরি হয় এই পোশাক। শাড়ির রঙের সঙ্গে মানানসই একটি ব্লাউজ পরে নিলেই সাজ পরিপূর্ণ। সঙ্গে থাকুক একজোড়া ভারী কানের দুল। একটু এথনিক লুক আনতে ঘাড়ের কাছে নিচু করে বেঁধে নেওয়া যাক পনিটেল।
ফ্রিল রাফল শাড়ি
রাফল শাড়ি দেখতে এমনিতেই খুব সুন্দর। কিন্তু তার সঙ্গে যদি মিশে যায় বেশ খানিকটা ফ্রিল, একেবারে জলপ্রপাতের মতো সুন্দর লাগবে দেখতে। এতে মিশে যায় আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের চিরায়মান সৌন্দর্য। এ রকম একটি শাড়ি বেছে নিলে ভাইফোঁটার সাজ জমে যাবে। এর সঙ্গে পরা যেতে পারে লম্বা হাতা ব্লাউজ। হালকা মেকআপ আর সামান্য গয়নায় অনন্যা।
রঙিন স্ট্রাইপ
হালকা ফুরফুরে মাল্টিকালার শাড়ি এখন ফ্যাশনে ইন থিং। অনেক রঙ থাকার জন্য এ ধরনের পোশাক এমনিতেই খুব রঙিন হয়। আর তার সঙ্গে যদি মেল বন্ধন ঘটে স্ট্রাইপের তবে তো কথাই নেই। এ ধরনের শাড়িতে একটা দারুণ রেট্রো লুক পাওয়া যেতে পারে। এ রকম একটা শাড়ি পরলে চুলে পাফ করে হাই বান করে নিলে ভাল লাগবে। কানের দুল হিসেবে রেট্রো রিং বা হুপস বেছে নেওয়া যেতে পারে। চোখের মেক-আপে থাক উইংড আইলাইনার এবং হালকা রঙের লিপস্টিক। শাড়ির সঙ্গে মানানসই একেবারে ভিন্ন রঙের ব্লাউজ পরা যেতে পারে।
রাফল নেট শাড়ি
শাড়ি সব সময়ই কালোত্তীর্ণ। আর নেট শাড়ির ফ্যাশনও কখনই বদলায় না। বদলায় শুধু নকশা। আজও বলিউড এই নেট শাড়িতে মত্ত। আর তাই মহিলারাও এমন একটি শাড়ি পরার স্বপ্ন দেখেন ঘুমে, জাগরণে। আধুনিক নেট শাড়িতে আসছে নানা রকমের ডিজাইন। যার অন্যতম অবশ্যই রাফল। ভাইফোঁটার সন্ধ্যায় বেছে নেওয়াই যেতে পারে এমন একটি রাফল নেট শাড়ি। জাঁকজমক পূর্ণ সাজ হতে হবে। সঙ্গে থাক মানানসই একখানা পাথর সেটিংয়ের নেকলেস। যে হেতু এ দিন মূলত ঘরোয়া অনুষ্ঠান তাই খুব জমকালো মেক-আপ না করলেই ভাল লাগবে।
এক নজরে সাজ
মূলত ঘরোয়া পারিবারিক অনুষ্ঠান তাই মাত্রাতিরিক্ত চড়া মেক-আপ প্রয়োজন নেই। তা ছাড়া রাফল শাড়ি নিজেই অনেকটা নজর কাড়বে, তাই চুড়ি বা অতিরিক্ত গয়নার প্রয়োজন নেই। ঠিক একই কারণে গয়নাও হালকা হলেই ভাল হয়। তাতে অনেক বেশি মার্জিত লাগবে। বরং নজর দেওয়া যেতে পারে ব্লাউজের ডিজাইনে। রাফল শাড়ি যে হেতু একটু ঝুলে যেতে পারে তাই ঠিক ভাবে পরতে হবে। আর সামান্য হলেও হিল তোলা জুতো পরলে ভাল লাগবে। শাড়ি সামলাতে অসুবিধা হলে অনায়াসে কোমরে বেল্ট বেঁধে নেওয়া যায়। দারুন ফ্যাশনেবল লাগবে।
