উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলার অপথ্যালমোলজিস্ট ডা. গোবিন্দ সিং বলেন যে, বদ্ধ ঘরে হিটার অথবা ব্লোয়ার চালালে ঘরের বাতাস গরম হচ্ছে। আর ঘরের আর্দ্রতা এবং অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। এই পরিস্থিতিতে ব্লোয়ার অথবা হিটারের গরম হাওয়া চোখের আর্দ্রতাও ছিনিয়ে নিচ্ছে। আসলে হিটার এবং ব্লোয়ার ব্যবহার করলে আপাত ভাবে ঠান্ডার হাত থেকে মুক্তি মিলবে। কিন্তু স্বল্প আর্দ্রতার কারণে চোখের রেটিনা শুকিয়ে যেতে থাকে। যার জেরে চোখ জ্বালা, সংক্রমণ, শুষ্ক ভাব এবং চুলকানি হতে শুরু করে।
advertisement
ডা. গোবিন্দ সিংয়ের কথায়, ব্লোয়ার ব্যবহারের জন্য ঘরের অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে। আর কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। এর জেরে উত্তেজনা এবং মাথা ব্যথার মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। যার জেরে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীদেরও সমস্যা হতে শুরু করে। কারণ কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস অ্যাজমা রোগীদের জন্য চরম বিপদ ডেকে আনতে পারে।
তিনি আরও বলেন যে, ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য ঘরে রুম হিটার অথবা ব্লোয়ার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা আবশ্যক। রুম হিটার অথবা ব্লোয়ার কিছুক্ষণ চালিয়ে রাখার পরে তা বন্ধ করে দিতে হবে। এর পাশাপাশি বিশেষ করে বয়স্ক মানুষদের টাটকা বাতাস গ্রহণ করতে হবে। সমস্যা দেখা দিচ্ছে চোখের। শুষ্ক হয়ে যাওয়া চোখের সাধারণ সমস্যা। যার জেরে চুলকানি, জ্বালা, চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে। এমন সমস্যা হলে সময়ে সময়ে চোখে পরিষ্কার জলের ঝাপটা দিতে হবে। চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই চোখে ওষুধ দিতে হবে।
আরও পড়ুনSarse Bhapa Dim Recipe: মাছ-মাংস ফেল, আঙুল চেটে খাবেন ডিমের এই বিশেষ রেসিপি! রইল বিস্তারিত
এই মুহূর্তে চোখের রোগীদের সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনটাই জানালেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। তিনি জানান, হাপুরে ক্রমবর্ধমান ঠান্ডার জেরে ঘরে ঘরে অতিরিক্ত বেড়েছে রুম হিটার অথবা ব্লোয়ারের ব্যবহার। যার ফলে সেখানকার সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালেও আচমকাই চোখের রোগীর ভিড় চোখে পড়ছে।