মনে রাখবেন পু্ত্রবধূ হিসেবে আপনি যেমন নতুন ভূমিকায়, তেমনই নতুন ভূমিকায় পা দিয়েছেন শাশুড়িও ৷ প্রথমেই মনে কোনওরকম তিক্ততা রাখবেন না ৷ সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সম্পর্ক শুরু করুন ৷ তাহলে অন্তত গোড়ায় গলদ থাকবে না ৷ মায়ের জায়গায় কাউকে বসানো যায় না ঠিকই৷ কিন্তু চেষ্টা করুন অন্তত আপাতভাবে মায়ের সঙ্গে শাশুড়ির বৈষম্য না করতে ৷ জন্মদিন উপলক্ষে উপহার দিন দু’জনকেই ৷ শাশুড়ি যদি দূরে থাকেন, তাঁকে বাড়িতে এসে থাকতে বলুন অন্তত দিন কয়েকের জন্য ৷ স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে আপনিও যান শাশুড়ির কাছে দিন কাটাতে ৷
advertisement
কিছু ক্ষেত্রে শাশুড়ি তাঁর পুত্রবধূকে প্রতিযোগী ভাবেন ঠিকই ৷ তাই নিজেকে কিছুটা এগিয়ে রাখার জন্য শাশুড়ির আচরণে কিছু পরিবর্তন তো লক্ষ করতেই পারেন ৷ সেটা বুঝতে পেরেও নিজেকে সংযত রাখুন ৷ আপনিও নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিযোগী ভেবে বসবেন না ৷ নিজের আচরণ সংযত রাখাই শ্রেয় ৷ শাশুড়ি গৃহবধূ৷ আপনি কর্মরতা-হতেই পারে এই পরিস্থিতি ৷ তাই বলে তাঁর প্রতি অশ্রদ্ধা পোষণ করবেন না৷ শ্রদ্ধা বজায় রাখুন ৷ তাঁর কাছেও অতীত জীবনের সংগ্রাম জানতে চান ৷ তিনি কীভাবে এত দিন সংসারের হাল ধরে থেকেছেন, সন্তানদের বড় করে তুলেছেন-জানতে চান সে সব দিনের কথা৷ তাঁর সংগ্রামকেও সম্মান করুন ৷
নতুন পরিবারে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে৷ নিজেকে সেই সময় দিন ৷ শ্বশুরবাড়িতে আপ্যায়িত না হলেও আহত হবেন না ৷ তাঁদেরকেও সময় দিন ৷ আপনাকে চেনার ও বোঝার জন্য ৷ শাশুড়ি যখন কথা বলবেন, সেদিকে মনোযোগ দিন ৷ তাঁর কথা অর্থহীন লাগলেও অবহেলা করবেন না৷ ‘ইগনোর’ করা কিন্তু ঝগড়ার থেকেও তিক্ত ৷ ঘরের কাজে শাশুড়ি সাহায্য করতে চাইলে ফিরিয়ে দেবেন না৷ আপনিও তাঁকে সাহায্য করুন ৷
আরও পড়ুন : রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কয়েক ফালি নারকেল! হাজারো সমস্যার মুশকিল আসান আপনার হাতে
শাশুড়ি দূরে থাকলে ফোনে নিয়মিত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন ৷ খোঁজ রাখুন তাঁর শরীর ও স্বাস্থ্যের ৷ বাড়ির সব দরকারি কথা তাঁকে জানান ৷ এরকম যেন না হয়, বাড়ির কোনও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আপনার শাশুড়ির অজ্ঞাতই থেকে গেল৷ সাংসারিক বিষয়ে আপনার শাশুড়ি অনেক বেশি অভিজ্ঞ ৷ তাই তাঁর পরামর্শ নিন ৷ আপনার পছন্দ না হলেও তাঁর কথা মন দিয়ে শুনুন ৷ সন্তানকে বড় করে তোলার বিষয়ে শাশুড়ির পরামর্শ নিন ৷ নাতি নাতনির সঙ্গে ঠাকুমার সখ্যে বাধা দেবেন না৷ শাশুড়িকে ‘সেকেলে’ চিহ্নিত করবে বসবেন না৷
এই ব্যবহারিক টিপসগুলি মনে রাখুন৷ সব সময় গলাগলি হৃদ্যতা না থাকলেও বেশির ভাগ সময়েই শাশুড়ি পুত্রবধূর সুসম্পর্ক বজায় থাকবে৷