ছত্তিশগড় তার ঐতিহ্যবাহী এবং দেশীয় খাবারের জন্য পরিচিত। এখানকার খাবার স্থানীয় স্বাদ ও সংস্কৃতির গভীর প্রতিফলন ঘটায়। জনপ্রিয় খাবারগুলির মধ্যে একটি হল মুলোর বড়ি, যা নানা রকম মশলা মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। বিশেষ অনুষ্ঠান, পার্বণ থেকে শুরু করে রোজকার পাতেও এর উপস্থিতি দেখা যায়। মুলোর বড়ি হল ছত্তিশগড়ের একটি অনন্য এবং সুস্বাদু খাবার, যা তৈরি করা হয় উরদ ডাল এবং মুলোর সংমিশ্রণে। কেবল দুর্দান্ত স্বাদই নয়, এর পুষ্টিগুণও রয়েছে। মুলোর একটি শীতল প্রভাব রয়েছে এবং উরদ ডাল প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা এই খাবারটিকেও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৬৭৭ নং বাংলো! বন্ধুর নামে বরাদ্দ, ব্যবহার করতেন দিলীপ ঘোষ! প্রকাশ্যে আসতেই বড় পদক্ষেপ রেলের
আরও পড়ুন: আর যেন না ফেরে ভাঙা ব্রিজের স্মৃতি! আগেভাগেই এবার সতর্ক পূর্ত দফতর, নিল বড় পদক্ষেপ
বিলাসপুরে বসবাসকারী গয়া বাই বলেছেন যে, এটি তৈরি করতে প্রধানত ভেজানো উরদ ডাল, গ্রেট করা মুলো, কাঁচা লঙ্কা, আদা, রসুন, জিরে, লবণ এবং লাল লঙ্কার গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়। এই সব একসঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া হয় একটি ঘন এবং মশলাদার মিশ্রণ প্রস্তুত করতে। প্রথমে উরদ ডাল কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে তারপর কষিয়ে নিতে হবে। তারপর গ্রেট করা মুলো এবং সমস্ত মশলা যোগ করতে হবে এবং ভালভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে, যাতে মিশ্রণটি হালকা এবং তুলতুলে হয়। এরপর এই মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট বড়ি বানিয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে গেলে প্রয়োজন অনুযায়ী তা ভাজা হয় বা সবজিতে দিয়ে রান্না করা হয়।
বলা হয় যে মুলোর বড়ির সুগন্ধ ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। মুলোর মৃদু মিষ্ট ভাব এবং মশলা একত্রে একটি নিখুঁত স্বাদের ভারসাম্য তৈরি করে। শাকসবজিতে এটি যোগ করলে তাদের স্বাদ দ্বিগুণ হয়।
মুলোর বড়ি প্রায়ই ডাল-ভাত, রুটি-সবজি বা চাটনির সঙ্গে ছত্তিশগড়ে পরিবেশন করা হয়। এটি শুকনো খোলায় সেঁকে জলখাবার হিসেবেও খাওয়া যায়। ছত্তিশগড়ে অনেক বাড়িতে মুলোর বড়ি খুব জনপ্রিয় এবং সারা বছর ধরে তা সংরক্ষণ করা হয়। ফাস্ট ফুড এবং ইনস্ট্যান্ট রেসিপির বর্তমান যুগেও, মুলোর বড়ির মতো ঐতিহ্যবাহী রেসিপিগুলো মানুষের হৃদয়ে তাদের জায়গা করে নিয়েছে। এটি শুধু স্বাদের ভাণ্ডারই নয়, আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও একটি অংশ। এই ধরনের রেসিপি নতুন প্রজন্মকে ঐতিহ্যবাহী স্বাদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সাহায্য করে।