এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
হাড় বা অস্থি বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ডাক্তারি পরিভাষায় একে কনড্রম্যালেসিয়া অফ প্যাটেলা (নি ক্যাপ বোন) বলে। সোজা কথায় বুঝিয়ে বলতে গেলে বলতে হয় যে হাঁটুর কাছে যে নরম তরুণাস্থি বা কারটিলেজ থাকে সেটা এক সময় শক্ত হয়ে যায়। এটা নানা কারণে হতে পারে। যেমন পেশি শক্ত হয়ে গেলে বা দুর্বল হয়ে গেলে এটা হতে পারে। বিশেষ করে যদি কোয়াড্রিসেপস এবং হ্যামস্ত্রিংয়ের পেশি টাইট হয়ে যায়, তাহলে এটা বেশি হয়। এরকম হলে প্যাটেলা বেঁকে যায় এবং থাইয়ের হাড় ও প্যাটেলার মধ্যে তখন টান পড়ে।
advertisement
বেশি হাঁটাচলা না করার কুফল
হাঁটু শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কারণ হাঁটুর উপর পুরো শরীরের ভার থাকে। এখনকার তরুণ প্রজন্ম বেশিরভাগ সময়েই বসে কাজ করে। তাঁদের হাঁটাচলা অত্যন্ত কম হয়। উপরন্তু অনেকেই আচমকা জিমে গিয়ে অতিমাত্রায় শরীরচর্চা শুরু করেন। সেটারও একটা কুপ্রভাব হাঁটুর উপরে পড়ে। এই সমস্যা হাঁটুর নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। যার মধ্যে প্রধানত কোয়াড্রিসেপস, হ্যামস্ট্রিং এবং গ্লুটিয়াল পেশিগুলির স্ট্রেচিং অন্যতম।
আরও পড়ুন : উল্টোপাল্টা ওষুধ নয়, কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে ভরসা রাখুন এই চেনা অভ্যাসে
আগে কোনও হাড়ে চিড় যদি থাকে
যদি আগে থেকে হাঁটু ভাঙা থাকে বা হাঁটুতে চিড় থাকে তাহলে ব্যথা অবশ্যই বেশি হয়। এছাড়াও হাঁটুতে ব্যথার অন্যান্য কারণ হল হাঁটুতে মেনিসকাস (শক অ্যাবজরবার) ছিঁড়ে যাওয়া বা চোট পাওয়া।
সিঁড়ি ভাঙার সময় হাঁটুতে ব্যথা করে কেন?
তার কারণ ব্যখ্যা করেছেন অস্থি বিশেষজ্ঞরা। হাঁটার সময় শরীরের ওজন থাকে থাইয়ের উপর। কিন্তু সিঁড়ি ভাঙার সময় চাপ পড়ে হাঁটুর পেশির উপর। বার বার সিঁড়ি ভাঙলে প্যাটেলার উপর চাপ পড়ে, তখনই ব্যথা শুরু হয়।
চিকিৎসা
বেশিরভাগ হাঁটুর ব্যথা ওষুধ ও কিছু এক্সারসাইজে সেরে যায়। ব্যথা খুব বেশি হলে কিহোল অপারেশন বা কারটিলেজ গ্রাফটিং করা যায়।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)