সাধারণত ভ্যাজাইনাল সেক্স, ওরাল সেক্স, অ্যানাল সেক্স এবং চুম্বনের মাধ্যমে এই রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে৷ চুলকানি ও যন্ত্রণাপ্রবণ ফোস্কার মতো ক্ষত সারা দেহে দেখা দেয়৷ অনেক সময় কমে যায়, আবার হয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হার্পিসের উপসর্গ অনেকেই উপেক্ষা বা অবহেলা করে যান৷ গুলিয়ে ফেলেন অন্য রোগের লক্ষণের সঙ্গে৷ তাই তাঁরা টেরও পান না হার্পিসের মতো অসুখের শিকার হয়ে পড়েছেন৷ (Reasons behind herpes symptoms)
advertisement
একাধিক রকমের হার্পিস সংক্রমণ হয়-
জেনাইটাল হার্পিস-
যৌনাঙ্গে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে৷
ওরাল হার্পিস-
ঠোঁটের চারপাশে, মুখে ও গলায় সংক্রমণ হলে তখন তাকে বলা হয় ওরাল হার্পিস৷ এর ফলে যে ক্ষত তৈরি হয় তাকে কোল্ড সোর বা ফিভার ব্লিস্টারও বলা হয়৷
আরও পড়ুন : ফ্লোরাল স্যুটের ফাঁকে বক্ষবিভাজিকা, আবেদনে অপ্রতিরোধ্য পূজাকন্যার লাস্য দেখুন ছবিতে
এইচএসভি-১ সাধারণত ওরাল হার্পিসের কারণ৷ এইচএসভি-২-এর ফলে মুখের বিভিন্ন অংশে সংক্রমণ হয়৷ তবে অসুরক্ষিত যৌন সংসর্গের জন্য দু’ ধরণের জীবাণুর জন্য শরীরের যে কোনও অংশ সংক্রমিত হতে পারে৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদি কেউ সংক্রমিত ঠোঁট-সহ ওরাল সেক্সে লিপ্ত হন, তাহলে যৌনাঙ্গেও ছড়িয়ে পড়বে এইচএসভি-১৷ এই একইভাবে কারওর ঠোঁটে হার্পিস সংক্রমণ দেখা দিতে পারে এইএসভি-২-এর প্রভাবে৷
কীভাবে হার্পিসের জীবাণু ছড়ায়-
বিষমকামী এবং সমকামী যৌনতা অসুরক্ষিত অবস্থায় করলে
সংক্রমিত কারওর সঙ্গে ওরাল সেক্সে লিপ্ত হলে
ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শে
মায়ের থেকে সংক্রমিত হতে পারে সদ্যোজাত সন্তান
তবে যৌনতা ছাড়াও অন্যান্য কারণে বা অন্যান্য উপায়েও হার্পিস ছড়াতে পারে৷ যদি সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করার পর কেউ সেই হাত না ধুয়ে নিজের শরীরের কোনও অঙ্গ স্পর্শ করেন, তাহলে সেই অংশের ত্বকও সংক্রমিত হয়ে পড়বে৷ তবে মানবদেহের বাইরে এই জীবাণু স্বল্পায়ু৷ তাই আলিঙ্গন, হাত ধরা, সর্দিকাশি, হাঁচি বা একই টয়লেট সিট থেকে এই জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে না৷
আরও পড়ুন : সাদা বিকিনিতে নায়িকা যেন জলের মাঝে মৎস্যকন্যা
নিওনেটাল হার্পিস-
ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় সদ্যোজাতর জেনিটাল ট্র্যাক্ট যদি কোনওভাবে এইচএসভি জীবাণুর সংস্পর্শে আসে, তাহলে সে নিওনেটাল হার্পিসের শিকার হতে পারে৷ তবে সদ্যোজাতদের মধ্যে হার্পিস বিরল অসুখ৷ সারা বিশ্বে প্রতি ১ লক্ষ সদ্যোজাতর মধ্যে ১০ জনের এই রোগ দেখা দেয়৷ কিন্তু এই সংক্রমণ জটিল৷ এর ফলে দীর্ঘকালীন স্নায়বিক সমস্যা থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি হতে পারে সদ্যোজাতর৷
আরও পড়ুন : একই বাড়িতে থেকেও বন্ধ মুখ দেখাদেখি! পুরভোটের জেরে ফাটল স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে
যে সব মহিলার জেনিটাল হার্পিস অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে থেকেই আছে, তাদের থেকে গর্ভস্থ শিশুর আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম৷ এই ঝুঁকি অত্যন্ত বেড়ে যায় যখন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার শেষ পর্যায়ে প্রথম বার কেউ হার্পিসে আক্রান্ত হন৷
ওষুধের প্রভাবে হার্পিসের উপসর্গ প্রশমিত হয়৷ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার হারও কমে৷ নিয়মিত চিকিৎসা এবং ওষুধের প্রভাবে হার্পিস আক্রান্তরাও সুস্থ থাকেন৷ স্বাভাবিক যৌনজীবন-সহ তাঁরাও সুস্থভাবে বাঁচতে পারেন৷