রাস উৎসব বললেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে নদিয়ার কথা। সেখানে শ্রী চৈতন্যদেবের রাসলীলার কথা। চৈতন্যদেব নীলাচলে যাওয়ার পথে এসেছিলেন মথুরাপুরে। এরপর থেকে তাঁর ভাবধারায় আদর্শিত হয়ে এখানেও শুরু হয় রাস উৎসব। এখনও এখানে রয়েছে তাঁর পদচিহ্ন। মথুরাপুরের ছত্রভোগ যেখানে গেলে আজও দেখা মিলবে চৈতন্য মহাপ্রভুর পদচিহ্নের প্রতিকৃতি।
advertisement
কথিত আছে চৈতন্য মহাপ্রভু নীলাচলে যাওয়ার সময় অন্ধমুনিতলা থেকে কিছুটা দূরে আদিগঙ্গার পাড়ে অবস্থান করেছিলেন। সেখানে তিনি ভোগ বিতরণ করেন। সেই থেকে এলাকার নাম হয় ছত্রভোগ।
ঐতিহাসিক স্থান হিসাবে এই ছত্রভোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। বছরের কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনে বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মানুষজন এখানে একত্রিত হন। সেইদিন এখানে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় জমান। এ নিয়ে স্থানীয় ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ দেবীশংকর মিদ্যা জানান, এই অঞ্চলে চৈতন্যদেব আসার পর বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাব বাড়ে।যার ধারা আজও বহমান। এই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় রাস উৎসব হয়।
আরও পড়ুন : কেটে গেছে ৩০০ বছর! পটাশপুরের জমিদারবাড়ির রাস উৎসবের জৌলুস আজও অটুট
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু এখানে পদচিহ্ন রেখে গিয়েছিলেন। যেটি আজও সযত্নে রক্ষিত আছে সেখানে। বর্তমানে আদিগঙ্গার ধারা প্রায় বিলীন হয়ে গিয়েছে। তবে রয়ে গিয়েছে চৈতন্য মহাপ্রভুর আগমনের চিহ্ন।
রাস উৎসব আসলেই সেই স্মৃতি টাটকা হয়ে ওঠে এই এলাকায়। আজও তাঁর ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হাজার হাজার ভক্ত আসেন এখানে। আপনিও তাহলে দেরি করছেন কেন, চলে আসুন মথুরাপুরে।