কোরানে খেজুরের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এবং বলা হয়েছে এটি ইফতারের একটি প্রধান খাবার যা ছাড়া রোজা রাখা অসম্পূর্ণ। ইসলামে খেজুরকেও পবিত্র বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন- ঘৃণার বুলডোজার বন্ধ করুন: জাহাঙ্গিরপুরীতে বিজেপির অভিযান নিয়ে আক্রমণ রাহুলের
খেজুরের ইতিহাস
খেজুরের বিজ্ঞানসম্মত নাম ফিনিক্স ড্যাক্টিলিফেরা। মধ্যপ্রাচ্য থেকেই খেজুরের আগমন বলা জানা যায় এবং প্রায় ৩,০০০ টিরও বেশি প্রজাতির রয়েছে এই খেজুরের। চাষের মাধ্যমে উৎপন্ন প্রাচীনতম ফলগুলির মধ্যে একটি হল খেজুর, লক্ষ লক্ষ বছর আগে থেকে এই ব্যবহারের কথা জানা গিয়েছে। গ্রিক পুরাণে খেজুরকে অমর ফিনিক্সের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে ফিনিক্স পাখির মতোই খেজুরও অমর। অনেকে আবার বলেন, আমেরিকায় স্প্যানিয়ার্ডরা মেক্সিকো এবং ক্যালিফোর্নিয়া সহ বিভিন্ন অঞ্চলে ১৭৬৫ সালে খেজুর খাওয়া চালু করেছিল।
advertisement
আরও পড়ুন- মডেল প্রেমিকার নামে লাহোরে সেতু গড়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ!
ইসলামে খেজুরের তাৎপর্য
কোরানে অন্যান্য ফলের চেয়ে খেজুরের কথা বেশি উল্লেখ করা হয়েছে। এই ধর্মগ্রন্থে ২২ বার খেজুরের উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া নবী মহাম্মদের অনেক বাণীতে ইসলামে খেজুরের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেছে। বলা হয়েছে, কোরানে নবী বলেছেন যে প্রতিদিন সকালে সাতটি খেজুর খেলে তা বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। বিশ্বাস করা হয় যে, নবী শুধুমাত্র খেজুর দিয়েই রোজা ভাঙতেন সেই রীতিই এখনও সারা বিশ্বের মুসলিমরা অনুসরণ করেন।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে, খেজুর বিভিন্ন নামে পরিচিত। উর্দু ভাষায় খেজুর এবং আরবি ভাষায় তমর নামে ডাকা হয় একে।
ধর্মীয় তাৎপর্য ছাড়াও, উপবাসের সময় খেজুর ব্যবহারের পিছনে বিজ্ঞানও রয়েছে। এতে দ্রবণীয় ফাইবার বেশি থাকে যা উপোসের পর খেলে পেট ভরে যায়।