তাই তাঁরা বিভিন্ন আদিবাসী গ্রামে এই উৎসব আরও বেশি করে করছেন। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী ভূমিজ মুণ্ডা কল্যাণ সমিতির রাজ্য সম্পাদক লক্ষ্মীনারায়ণ সিং সর্দার বলেন, এই পুজোর মূল লক্ষ্য হল প্রকৃতির আরাধনা করা। এই পূজার মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে আবহাওয়া কেমন থাকবে , বৃষ্টি কেমন হবে, জমির ফসল কেমন ফলবে সেই সমস্ত নির্ধারিত হবে। প্রতিবছরই এই উৎসব পালিত হয়ে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন : অভাব কেড়ে নিয়েছে লেখাপড়া, নিজের স্কুলের সামনে গরমাগরম চিকেন গন্ধরাজ মোমো বিক্রি করেন কলেজছুট যুবক
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ ভূমিজ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামপদ সিং সরদার বলেন , বর্তমানে ছেলেমেয়েদের মধ্যে আধুনিক গানের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। তারা নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ভুলে যাচ্ছে। তাই আমরা ভূমিজরা জনবহুল এলাকায় এই উৎসব পালন করছি। আগামী দিনে এই উৎসব পালনের জন্য অন্যান্যদেরও আহ্বান জানাচ্ছি।
কথিত আছে, শাল গাছে এলে ফুল, নাচে গানে সারহুল পালিত হয়। এই উৎসব ফাল্গুন মাসে শুরু হয় তা চলে বৈশাখ মাসের অক্ষয় তৃতীয়া পর্যন্ত। এই উৎসবকে ঘিরে মেতে ওঠেন আদিবাসী ভূমিজ সম্প্রদায়ের মানুষজন।