সর্বপ্রথম খেজুর গাছে হাড়ি ঝুলিয়ে খেজুর রস সংগ্রহ করা হয়। সেই রস ঢালা হয় একটা বড় পাত্রের মধ্যে। তারপর সেই রস দীর্ঘক্ষণ জ্বাল দিয়ে ফোটান হয়। প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা পর রস গাঢ় হয়ে এলে সেই পাত্র মাটির উনুন থেকে নামান হয়। পরবর্তিতে পাত্রের একদিক অল্প উচু করে রাখা হয়। এবং সেই গাঢ় গুড়কে মাটির ভাঁড়ে ঢেলে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে সেই গুড় জমাট বেঁধে তৈরি হয় পাটালি।
advertisement
ফার্স্ট হবে ক্লাসে! সন্তানকে সব সময়ে ‘এক নম্বরে’ দেখতে চাইলে শেখান কিছু অভ্যাস, জানুন কোনগুলো
বিহারে বিজেপির জয়ের নেপথ্যে রয়েছে বড় পরিকল্পনা! জুন মাস থেকে সবটা জেনে নিন
বর্তমানে এই খেজুর গুড়ের পাটালির চাহিদা ব্যাপক। এখন এই পাটালি কেজি প্রতি ১২০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও দাম কিছুটা বেশি, তবে এর স্বাদ, গন্ধ এবং ঐতিহ্য, সবকিছু মিলিয়ে এটি একেবারে অমূল্য।
খেজুর গুড়ের পাটালি শুধু খেতেই মিষ্টি নয়, দেখতেও সুন্দর এবং স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়ার কারণে শরীরে নানা পুষ্টিগুণ পৌঁছে দেয়। তাই বাঙালির শীতে খেজুর গুড়ের পাটালির চাহিদা যেন বাড়তেই থাকে, আর এই ঐতিহ্যও যেন যুগের পর যুগ অটুট থাকে।