কুর্তির সঙ্গে রঙমিলন্তি লোয়ার পিস বা প্যান্ট পরাই যায়। আরেকটা বিকল্প হল কনট্রাস্ট করা। সবুজ কুর্তির সঙ্গে লাল প্যান্ট কিংবা কমলা কুর্তির সঙ্গে নীল। তবে সবচেয়ে ভাল হয় যদি প্যান্টে নজরকাড়া নকশা থাকে। এখানে সাধারণ কুর্তির সঙ্গে প্যান্টের কিছু ডিজাইন দেওয়া হল, যা লুক একধাক্কায় অনেকখানি বাড়িয়ে দেবে।
প্যান্টে পুঁতির নকশা: প্লেইন কুর্তি হলে পুঁতির সাহায্যে প্যান্টে নজরকাড়া লুক আনা যায়। এতে কুর্তিও স্টাইলিশ দেখাবে। দর্জির দোকানেই প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী পাওয়া যাবে। এছাড়া প্লেইন কুর্তিতেও মুক্তো বা পুঁতির কাজ করা যায়। চাইলে একইভাবে সাজিয়ে তোলা যায় ওড়নাও। এমন সাজের শান্ত ইমেজ রয়েছে। প্রতিদিনের পোশাকে ব্যবহার করলে চেহারায় মার্জিত লুক এনে দেবে।
advertisement
আরও পড়ুন : কোন শাড়ির সঙ্গে কীরকম ব্লাউজ পরবেন জানুন, নইলে পুজোর সাজই মাটি
অর্ধ বৃত্তাকার নকশা: এই ডিজাইন থাকে পায়ের গোছের কাছে। অনেকগুলো অর্ধবৃত্ত। দেখতে অনেকটা ফুলের মতো। কুর্তিতে যদি কাজ থাকে তাহলে প্যান্টে এই স্টাইল করা যায়। তবে এর জন্য দর্জির সাহায্য নিতে হবে। না হলে মাপে গণ্ডগোল হতে পারে। চাইলে এই ধরনের অন্য যে কোনও ডিজাইনের প্যান্টও পরা যায়। সালোয়ার স্যুটের সঙ্গেও এই ডিজাইনের প্যান্ট কেনা যায়। আর হ্যাঁ, এমন নকশার প্যান্টে যে কোনও ধরনের কুর্তিই ভালো মানায়।
আরও পড়ুন : পুজোয় শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করে পরতে হবে এমন চুড়ি-বালা, তবেই সাজ হবে সম্পূর্ণ!
প্যাটার্ন এবং লেসের কাজের ডিজাইনার প্যান্ট: এই ডিজাইন দেখতে খুব সুন্দর। কুর্তির হাতা বা কোণে যে কাজ থাকে প্যান্টের পায়ের কাছেও সেই ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা হয়। কুর্তি করতে গিয়ে কাপড় বেঁচে গেলে সেটাই প্যান্টে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া লুক আরও স্টাইলিশ করতে চাইলে ব্যবহার করা যায় গোটা পাত্তি। সালোয়ারের সঙ্গেও এই প্যান্ট পরা যায়। তবে মাথায় রাখতে হবে, সাধারণ কুর্তির কাপড়ে বেশি ফ্রিল না করাই ভাল। জবরজং দেখাতে পারে। এ জন্য দরকারে পাড়ার দর্জির সাহায্য নেওয়াই ভাল।