অন্য দিকে, শীতও প্রায় দোরগোড়ায় এসে গিয়েছে। তাই ফ্লু এবং সাধারণ সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি রয়েছে৷ আর এই সব কিছুই সংক্রামক হওয়ায় রোগগুলিকে আলাদা করে চিহ্নিত করাও জরুরি। তাই কীভাবে লক্ষণ দেখে কোভিড, সাধারণ ঠান্ডা লাগা এবং ফ্লু সনাক্ত করতে হবে ঝালিয়ে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: 'নাম পাল্টে যাবে শুভেন্দু অধিকারীর!' 'আক্ষেপ' ফিরহাদ হাকিমের! বেনজির কটাক্ষ
advertisement
কীভাবে কোনটা চিহ্নিত করতে হবে
সাধারণত সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার পরে আক্রান্তের শরীরে ২-১৪ দিনের মধ্যে কোভিড-১৯-এর লক্ষণ দেখা যায়৷ যেখানে সাধারণ সর্দি-কাশির ভাইরাস শরীরে প্রবেশের এক থেকে তিন দিনের মধ্যে উপসর্গ চলে আসে। আবার ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার এক থেকে চার দিনের মধ্যে সাধারণত ফ্লু-এর উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়।
সাধারণ সর্দি-কাশির লক্ষণ
সাধারণ ঠান্ডা লাগলে নাকে ও গলায় সংক্রমণ হয়। ফলে যে লক্ষণগুলি দেখা যায় তা হল গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, কাশি, হাঁচি, মাথা ব্যথা, গা-হাত-পায়ে ব্যথা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: বিক্রি না হওয়া লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতলেন কোচবিহারের ব্যক্তি, তারপরই ঘটল চমকপ্রদ ঘটনা
ফ্লু-এর সম্ভাব্য লক্ষণ
ফ্লু-কেও শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয় যা শরীরে খুবই প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়া করতে পারে। এমনকী শরীরের সংক্রমণের সবচেয়ে বিপদজনক প্রতিক্রিয়া সেপসিস হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মৃদু লক্ষণ দেখা যায়, যেগুলি হল-
জ্বর কিংবা জ্বর-জ্বর ভাব
কাশি
গলা ব্যথা
নাক দিয়ে জল পড়া
পেশি/শরীরে ব্যথা
মাথা ব্যথা
ক্লান্তি
বমি ও ডায়রিয়াও হতে পারে
কোভিডের সম্ভাব্য লক্ষণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-১৯-এর বিভিন্ন লক্ষণ হতে পারে। যেমন-
জ্বর
কাশি
নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা
স্বাদ কিংবা গন্ধ না থাকা
ক্লান্তি
পেশিতে ব্যথা
মাথা ব্যথা
গলা ব্যথা
নাক দিয়ে জল পড়া
বমি
ডায়রিয়া
কী করা উচিত
কোভিড-১৯-এর মৃদু লক্ষণ থাকলেও এটি সংক্রমণযোগ্য। একই ভাবে, সাধারণ সর্দি এবং ফ্লুও সংক্রামক এবং একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই ভাল ভাবে মাস্ক পড়াই সংক্রমণ রোধ করার চাবিকাঠি। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সঠিক হাত পরিষ্কারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং শুধু কোভিড নয়, ফ্লুর জন্য টিকা নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
বুঝতে না পারলে পরীক্ষা করানো
লক্ষণ দেখে নিশ্চিত হতে না পারলে কোভিড টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত। পাশাপাশি সংক্রমণের কারণ যাই হোক না কেন রিপোর্ট নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত নিজেকে আলাদা রাখা উচিত।