এর থেকে শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়ায় তৈরি হচ্ছে। নবজাতকদের মধ্যে নিউমোনিয়ার সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর। অনেক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে একের পর এক নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর ভর্তি হচ্ছে। ভাগলপুরের সরকারি হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত পরীক্ষা করা ৬০টি শিশুর মধ্যে ১৩ জনের বেশি শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
নিউমোনিয়ার কারণে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। সেই কারণেই শিশুদের আইসিইউতে ভর্তি করানোর প্রয়োজন হচ্ছে। শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. অজয় সিং নিউমোনিয়া সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শিশুদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। ডা. অজয় সিং বলেন, সাধারণত প্রতি বছরই শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নবজাতকদের মধ্যে নিউমোনিয়ার মতো রোগ বাড়ে। প্রায়ই, নবজাতকের রক্তচাপ বৃদ্ধি সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত শিশুদের রক্তচাপ ২৫ থাকার কথা কিন্তু এবার ৭৫-এর উপরে রক্তচাপ, এমন শিশুও ভর্তি হচ্ছে। প্রতি বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শিশুদের মধ্যে এই রোগ বাড়ে। চিনেও নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গযুক্ত রোগ দেখা যাচ্ছে। তবে ডা. অজয় সিং বলেছেন, চিনের রোগের সঙ্গে এখানকার সমস্যার কোনও সম্পর্ক এখনও ধরা পড়েনি।
আরও পড়ুন: কালো পোশাকে তৃণমূলের অবস্থানে, তাও বিধায়কের নাম অভিযোগপত্রে! তুঙ্গে শোরগোল
চিকিৎসক জানান, এই নিউমোনিয়া চিনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের থেকে আলাদা। কারণ ভারতে প্রতি বছরই এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু তারপরও সতর্ক থাকা খুব প্রয়োজন। ভারতে ছড়িয়ে পড়া রোগ এবং চিনে ভাইরাসটি মারাত্মক হয়ে ওঠার মধ্যে কী সম্পর্ক রয়েছে সেদিকে সরকারি তরফেও নজর রাখা উচিত। চিন থেকে আগত ব্যক্তিদের আইসোলেট করে শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফের কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে বাংলার স্বীকৃতি, মাংস-দুধ-ডিমে নজির গড়ল বাংলা!
এছাড়া, যাতে শিশুদের ঠান্ডা না লাগে, সেদিকে নজর দিতে হবে। বাইকে চড়ে ঘুরতে না বেরোনোই ভাল। একান্তই বেরতে হলে খুব ভাল করে গরম জামা পরে, কান, মাথা ও নাক ঢেকে রাখা দরকার, যাতে ঠান্ডা হাওয়া না লাগে।
রাতে ঘুমোনোর সময়ও পাখা বন্ধ রাখতে হবে। এসময় ঠান্ডা জিনিস খাওয়াও উচিত নয়।
