আরও পড়ুন- বিশ্ব ডাল দিবসে রোজের খাবারে জুড়ুন এক বাটি ডাল! রইল ডালের স্বাস্থ্যগুণ
পোষ্যের অভিভাবক হওয়া মানেই স্বাভাবিক নিয়মে অনেক দায়িত্ব বর্তায় আপনার উপর। তাদের বয়স অনুযায়ী সঠিক খাবার খাওয়ানো থেকে শুরু করে ওদের টিকা দেওয়ানো, ব্যায়াম করানো সবটাই গুরুত্বপূর্ণ। পোষ্যকে (Pet Care Tips) সুস্থ রাখা এবং আনন্দে রাখার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এই ভুলগুলি কখনই করবেন না-
advertisement
আরও পড়ুন- শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখেন না পুরুষরাই, ক্রমেই বাড়ছে পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব!
পোষ্যকে টিকা না দেওয়া: আপনার ছোট্ট পোষ্যটি লেপ্টোস্পাইরোসিস, ডিস্টেম্পার এবং পারভোভাইরাস এবং র্যাবিস সহ অনেক সংক্রামক রোগে ভুগতে পারে। তাই, কোনওভাবেই টিকা দিতে ভুলবেন না।
পশুচিকিত্সকের কাছে না যাওয়া: কুকুরের ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হার্টের সমস্যা থেকে ক্যান্সার অবধি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। সুতরাং, সতর্ক থাকুন এবং পোষ্যের (Pet Care Tips) শরীরে এমন কোনও অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটলে ডাক্তার দেখান। পোষ্যের ত্বক এবং লোমের সমস্যারও যত্ন নিতে হবে।
মৌখিক স্বাস্থ্যবিধির যত্ন না নেওয়া: আপনাকে পোষ্যের দাঁত এবং মাড়ির যত্ন নিতে হবে। ওদের দাঁতের স্বাস্থ্য অবহেলা করবেন না। দাঁত সঠিকভাবে ব্রাশ করান এবং পশুচিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী দাঁত পরিষ্কার করান।
কুকুরকে সঠিকভাবে না খাওয়ানো: একটি কুকুরের পুষ্টির চাহিদা ভিন্ন এবং ৫ মাস বয়সেই তাদের ৭৫% বৃদ্ধি ঘটে, তাই সুষম খাদ্য প্রয়োজন। আপনার পোষ্যকে ক্যালসিয়াম বেশি খাওয়াবেন না কারণ এটি হিপ ডিসপ্লাসিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে।
ব্যায়ামের রুটিন না থাকা: পোষ্যকে সক্রিয় থাকতে সাহায্য করা অপরিহার্য। আপনি ওদের বেড়াতে নিয়ে যেতে পারেন বা বাড়িতেই ওদের সঙ্গে খেলতে পারেন। পোষ্যকে একেবারেই অলস হতে দেবেন না।
পোষ্যকে অন্যদের সঙ্গে মিশতে না দেওয়া: নিশ্চিত করুন আপনার পোষ্য কুকুরেরও যাতে বন্ধু থাকে এবং বন্ধুদের উপর বা তার পরিবারের সদস্যদের উপর যেন ঘেউ ঘেউ না করে। যদি কুকুরটি আক্রমণাত্মক হয় তবে পশুচিকিত্সককে জানান। শাস্তি নয় বরং আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমেই এই সমস্যাগুলি সমাধান করতে হবে। পোষা প্রাণীকে ফোবিয়া কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করুন।