এই সমস্যায় বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মহিলারাই আক্রান্ত হন। এই সমস্যা তৈরি হলে মহিলাদের ডিম্বাশয় থেকে ডিম্ব নিষিক্ত হতে পারে না। আর যদিও হয় তবে সেটি সিস্টে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মূলত এই সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় ১৪ বছর থেকে শুরু করে ৪০ বছর পর্যন্ত বয়সের মধ্যে। যা মহিলাদের গর্ভধারণ করার ক্ষেত্রে বাঁধার সৃষ্টি করে থাকে, এ ছাড়াও চেহারায় অবাঞ্ছিত পরিবর্তন আসে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ১০০ বর্গফুটের ঘর রয়েছে? ১৫ দিনেই সাফল্য! মাসে আয় লক্ষ লক্ষ টাকা! জানুন কীভাবে…
কোচবিহারের অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ সরকার জানান, “পিসিওডি মহিলাদের ডিম্বাশযয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে পুরুষ হরমোন প্রস্তুত করে, যা ডিম্বানু সৃষ্টিতে সমস্যা সৃষ্টি করে। পিসিওডি লক্ষণগুলি প্রথমে খুব একটা বোঝা যায় না। তবে বিশেষ লক্ষণগুলি ওজন খুব তাড়াতাড়ি বাড়তে শুরু করবে। মুখে প্রচুর ব্রণ বেরিয়ে আসবে। মাথায় চুল পাতলা হয়ে আসবে। অনিয়মিত মাসিক চক্র দেখা দেবে। পিসিওডি রয়েছে যাঁদের, তাঁরা বছরে নয় বারের থেকে কম পিরিয়ডস অনুভব করেন। কিছু মহিলাদের পিরিয়ডস নাও দেখা যেতে পারে। যেগুলি কোন মহিলা সাধারণ শারীরিক বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।”
তিনি আরও জানান, “পিসিওডি-র চিকিৎসা হল এই রোগের লক্ষণ এবং এই রোগের সমস্যা প্রতিহত করা। পিসিওডি চিকিৎসার মাধ্যমে এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে খুবই সহজে দূর করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে মহিলাদের সব সময় ফিট থাকতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। হাঁটা একটি আদর্শ ব্যায়াম, যেটা সহজেই করা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। বাইরের তেলে ভাজা খাবার, বেশি করে চর্বি যুক্ত মাংস না খাওয়া ভাল। ধূমপান পরিহার করতে হবে। ধূমপান শরীরে হরমোনের পরিবর্তন করে।” যদিও এই সকল প্রতিকার বাড়িতেই খুব সহজে করা সম্ভব। তবে যদি এই সমস্যার লক্ষণগুলি বেশি দেখতে পাওয়া যায়। তবে দ্রুত নিকটবর্তী অভিজ্ঞ কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
Sarthak Pandit