উত্তরপ্রদেশের আমেঠি জেলার জেলা হাসপাতালে প্রচুর সংখ্যায় রোগীরা ডায়রিয়া, কাশি, জ্বর, সর্দি সহ লু-জনিত জ্বালা ইত্যাদি নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যে গরমের প্রভাব সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ৩১ মে থেকে খুলবে ৪ রাশির ভাগ্য, মালামাল হবেন জাতক-জাতিকারা, জেনে নিন কীভাবে
এমন পরিস্থিতিতে ক্রমাগত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালের অন্যান্য কাজে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমের পর সকাল ৯টা থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসকের দেখা পাওয়ার জন্য রোগীদের লম্বা লাইন শুরু হয়েছে। আউটডোরে ভিড় ছাড়াও প্যাথলজি বিভাগেও রোগীদের লম্বা লাইন চোখে পড়ার মতো। যেসব রোগীদের সামান্য সমস্যা আছে তাঁদের ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। একই সঙ্গে যেসব রোগীর সমস্যা বেশি তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জামাইষষ্ঠী করে সন্ধ্যায় ফিরেছিল! বাড়ি ফিরে এ কী করল যুবক! হতবাক গোটা পরিবার
হাসপাতালের এক চিকিৎসক শুভম পাণ্ডে জানান, আজকাল তাপমাত্রার প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। এর পরের মাসগুলিতে এই প্রবাহ আরও বাড়তে চলেছে। এমতাবস্থায় সমস্ত মানুষকে মনে রাখতে হবে যে, গরমের হাত থেকে বাঁচতে হুটহাট ঠান্ডা জিনিস না খাওয়াই ভাল। বাজারে বিক্রি হওয়া ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম এবং বিভিন্ন জুস খাওয়া থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। রোগ এড়ানোর জন্য শুধুমাত্র বাড়িতে তৈরি বিশুদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া রোদে বের না হওয়া, খুব প্রয়োজন হলে গ্লুকন ডি মিশ্রিত জল সঙ্গে রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া সর্বদা ফুলহাতা জামা-কাপড় ব্যবহার করারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
হাসপাতালের আরও এক চিকিৎসক লায়েক জামান জানিয়েছেন, জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি সকল সিএইচসিতে ওআরএস সলিউশন, ওষুধ ও অন্যান্য জিনিসপত্র যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে যাতে করে রোগীদের কোনও ধরনের সমস্যা না হয়। কারও কোনও রোগ বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত বলেও জানিয়েছেন তিনি।