হালকা গরম জল: পরোটা করার জন্য সবার আগে ময়দা মাখতে হবে। অনেকে জল দিয়ে ময়দা মাখেন। এটা ভুল। হালকা গরম জল দিয়েই ময়দা মাখা উচিত। তবেই পরোটা নরম হবে। আর সব জল একসঙ্গে নয়, অল্প অল্প করে দিতে হয়। ময়দা খুব ঘন বা পাতলা হয়ে গেলে স্টাফিং করার সময় ফেটে যেতে পারে।
advertisement
ময়দায় ঘি: ময়দা মাখার সময়ই তাতে ১ টেবিল চামচ ঘি দিতে হয়। এতে একটা সুন্দর গন্ধ ছাড়বে। ময়দার টেক্সচারও ভাল হবে। খেয়াল রাখতে হবে ঘি যেন গলা এবং গরম হয়। হালকা গরম জলে এক টেবিল চামচ ঘি মিশিয়ে সেটা দিয়েও ময়দা মাখা যায়। তাতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে।
আরও পড়ুন: 'তালিকায় ৩৫০ নেতা', বিরাট ঘোষণা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের! তুমুল আলোড়ন
সঠিক আঁচ: নরম ও তুলতুলে পরোটা বানানোর আসল রহস্য হল, সঠিক আঁচ। প্রথমে চাটু গরম করে নিয়ে আঁচ কমিয়ে মাঝারি করে দিতে হবে। চাটু খুব গরম থাকলে পরোটা পুড়ে যেতে পারে। শক্তও হয়ে যাবে। আর চাটু পর্যাপ্ত গরম না হলে পরোটা এলিয়ে যেতে পারে। তাই চাটু এবং আঁচ যথাযথ রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
ময়দার ডোল ঢেকে রাখতে হয়: ময়দা মাখার সঙ্গে সঙ্গে লেচি কাটা উচিত নয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভেজা সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। এতে ময়দা ফোলে। তাছাড়া ভেজা কাপড় দেওয়ার ময়দার নিজস্ব আর্দ্রতাও বজায় থাকে। আর ময়দা যদি খুব নরম মনে হয়, তাহলে ডোলটা মিনিট দশেক ফ্রিজে রাখলেই ঠিক হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: 'একটা দুটো ঘটনা ঘটলেও আমরা দুঃখিত', হঠাৎ কেন দুঃখপ্রকাশ মমতার? তুঙ্গে জল্পনা
দুধ বা দই: পরোটা নরম করার আরেকটি দারুণ উপায় হল, দুধ বা দই দিয়ে ময়দা মাখা। দই যেন ঘরের তাপমাত্রায় থাকে, আর দুধ হলে একটু গরম। এতে পরোটার টেক্সচার ভাল হয়। পরোটা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পরেও নরম থাকবে তাহলে। কয়েক ঘণ্টা পরে ফের গরম করা যায়, পরোটা তখনও নরম থাকবে।