এই প্রশ্নই আমরা রেখেছিলাম শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুমন্ত ভট্টাচার্যের কাছে৷ তিনি বললেন, ‘‘যখনই আমরা কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত হই, তার জেরে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়৷ ফলে নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই সেই ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা নিলে তার কার্যকারিতা থাকে না৷ তাই কিছু দিন আমাদের অপেক্ষা করতেই হয় টিকার উপযোগিতা সম্পূর্ণরূপে পাওয়ার জন্য৷’’ কিন্তু কত দিন অপেক্ষা করতে হবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে? চিকিৎসক সুমন্ত ভট্টাচার্য জানালেন, ‘‘যদি বাচ্চার সঠিক কোভিড রিপোর্ট থাকে, তাহলে আক্রান্ত হওয়ার পর চার সপ্তাহ থেকে ৬ সপ্তাহ অপেক্ষা করে টিকা দেওয়া যায়৷’’ সেক্ষেত্রে দেখতে গেলে জানুয়ারি মাসের নিরিখে সেই সময়পর্ব এখন পেরিয়ে যাওয়ারই কথা৷ কিন্তু এই সময়সীমা হিসেব করা তখনই সম্ভব, যখন সঠিক কোভিড রিপোর্ট থাকবে৷
advertisement
আরও পড়ুন : ঘূর্ণিঝড় 'অশনি'র কীভাবে নামকরণ করা হয়েছিল? এর অর্থ কী?
কিন্তু জানুয়ারি মাসে অতিমারির তৃতীয় তরঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত হয়েও অনেকেই পরীক্ষা করাননি৷ আর অ্যাসিম্পটোম্যাটিক হলে তো অনেকে বুঝতেও পারেননি তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা৷ সেরকম হলে বাচ্চাদের টিকাকরণ কি করা উচিত? সেই পরিস্থিতিতে ডক্টর ভট্টাচার্যর মত, এই মুহূর্তে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সি বা তার থেকে বয়সে কিছুটা বড় কিশোর-কিশোরীরা এই মুহূর্তে উপসর্গহীন হলে অর্থাৎ জ্বর সর্দিকাশি বা গলার সংক্রমণে আক্রান্ত না হলে, তাঁদের টিকাকরণ করিয়ে নেওয়া দরকার৷ কারণ এখনও অবধি টিকার তীব্র পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কার্যত দেখা যায়নি৷ বাচ্চার কোনও জটিল অসুখ থাকলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে টিকাকরণের আগে৷
আরও পড়ুন : বাজারে প্যাকেটজাত পণ্যের কৃত্রিম স্বাদ নয়, সন্তানকে দিন ঘরে তৈরি প্রোটিন শেক
আরও পড়ুন : চৈত্রের তপ্ত দুপুরে খান কাঁচা আম, সুস্থ থাকুন বছরভর
একইসঙ্গে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুমন্ত ভট্টাচার্য এও জানাতে ভুললেন না যে শিশু ও কিশোরদের কোভিড প্রতিষেধক দেওয়া কতটা গুরুত্বপূ্র্ণ৷ তাঁর কথায়, ‘‘বড়দের মতো কোভিডবিধি মেনে চলা বাচ্চাদের পক্ষে বেশ কঠিন৷ তাই ওরা যাতে নিরাপদে স্কুল করতে পারে, তার জন্য টিকাকরণ বাঞ্ছনীয়৷ তাছাড়া আরও কোনও কোভিড ওয়েভ আসবে কিনা, সে বিষয়ে এখনই পূর্বাভাস দেওয়া অসম্ভব৷ তাই কোভিডবিধি পালনে কোনও শৈথিল্য চলবে না৷ আমার মনে হয়, কোভিডবিধি বা স্বাস্থ্যবিধির মূল পাঠটুকু আমাদের পালন করে যেতে হবে অন্তত আরও এক বছর৷’’