হাই হিলের জন্মের উত্স খুঁজতে হলে যেতে হবে ১৫ শতকের পারস্যে বা আধুনিককালের ইরানে। ঐতিহাসিকরা জানিয়েছেন, মূলত সৈন্যরা তাদের পা রক্ষা করতে সাহায্য করার জন্য হাই হিল পরত। সেই সময়ে ঘোড়াই ছিল প্রাথমিক বা একমাত্র পরিবহণের মাধ্যম। শুধু তাই নয়, সামরিক অভিযানের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল ঘোড়া। তাই ঘোড়ায় চড়ে যাতায়াত বা যুদ্ধ দুইয়ের উদ্দেশ্যেই হাই হিল পরা পুরুষদের জন্য আবশ্যিক হয়ে ওঠে। হাই হিল পুরুষদের পা আটকে রাখতে সাহায্য করত এবং পাদানিতে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হলে ভারসাম্যও বজায় রাখত।
advertisement
আরও পড়ুন- এবার বদলে যেতে চলেছে লখনউয়ের নাম? নতুন নাম নিয়ে যোগীর ট্যুইটে শুরু জোর জল্পনা!
পারস্যের লোকজন যখন ইউরোপে পাড়ি দেয় তাঁদের সঙ্গেই হিল জুতোর ব্যবহারও ইউরোপের সংস্কৃতিতে ঢুকে পড়ে। ডেইলি আর্ট ম্যাগাজিনের মতে, বাটা শু মিউজিয়ামের পরিচালক এবং সিনিয়র কিউরেটর এলিজাবেথ সেমেলহ্যাক জানিয়েছেন, পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং পারস্যের শাসক শাহ আব্বাসের (১৫৮৮-১৬২৯) এর মধ্যে মিত্রতার পর ১৬ শতকে ইউরোপীয় পুরুষদের মধ্যে হাই হিলের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়। সেই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অশ্বারোহী বাহিনী ছিল শাহ আব্বাসের এবং সৈন্য ও যুদ্ধের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে হাই হিলকে বেশ পুরুষালি হিসেবে দেখা হত সেই সময়।
মধ্যযুগের অনেক চিত্রশিল্পেই দেখা যায় পুরুষ অভিজাতরা উঁচু হিল পরতেন যাতে তাঁদের আরও লম্বা এবং আরও শক্তিশালী দেখায়। Hyacinthe Rigaud-এর আঁকা পঞ্চদশ লুইয়ের প্রতিকৃতিতে দেখা যায় একটি কমলা রঙের ব্লক হিল জুতো পরে লম্বা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। ভেনিস এবং ইতালিতেও পুরুষ অভিজাতরা হাই হিল পছন্দ করতেন।
আরও পড়ুন- দেখুন ভিডিও: ছেড়ে গিয়েছে মা, কুকুরের কাছে বড় হচ্ছে বাঘের তিন ছানা!
তবে আধুনিককালে হিলের ব্যবহার বদলেছে। ফ্যাশনের একটি অপরিহার্য অঙ্গ হাই হিল। রিহানা, কিম কার্দাশিয়ান, বেলা হাদিদ এবং ইরিনা শাইকের মতো সেলিব্রিটিদের হাত ধরে ২০২২ সালে ফ্যাশনে ফিরেছে স্ট্র্যাপি হিল। স্কোয়ার-টো স্যান্ডেলের জনপ্রিয়তার কৃতিত্ব জুতো ডিজাইনার আমিনা মুয়াদ্দির। আর আরাম চাইলে ব্লক হিলও হতে পারে আপনার জন্য সেরা।
