অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা—
তাঁর দাবি, জৈব পদ্ধতিতে চাষ করলে উৎপাদিত ফসলে পুষ্টি উপাদানে সামান্য থেকে মাঝারি বৃদ্ধি হয়। নির্দিষ্ট ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের হার উচ্চমাত্রায় থাকতে পারে। উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব দেহের কোষের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে। ফ্রি র্যাডিক্যাল কম করে এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ঝুঁকি কমায়।
ক্যানসার সৃষ্টিকারী এজেন্ট—
জৈব ভাবে উৎপাদিত ফসলে কীটনাশক ব্যবহার কম বা প্রায় করাই হয় না বলে, অন্য ফসলের তুলনায় তা কম বিষাক্ত হয়ে থাকে। Friends of the Earth-এর এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জৈব খাদ্য গ্রহণ করতে শুরু করলে শরীরে ক্যানসার সৃষ্টিকারী গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যায়। এই গ্লাইফোসেট কীটনাশকের প্রাথমিক উপাদান।
advertisement
আরও পড়ুন: আপেল-কিউই নয়, খান পেঁপে! চিকিৎসকের মত জানলে চমকে যাবেন
ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড—
পশুখাদ্য হিসেবে জৈব উপাদানগুলি যেমন ঘাস ইত্যাদি ব্যবহার করে দেখা গিয়েছে, এগুলি পশুদের মধ্যে ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। অরগানিক দুগ্ধ, মাংস এবং ডিমে পাওয়া যায় এই ফ্যাটি অ্যাসিড যা অন্য ফ্যাটের তুলনায় শরীরের পক্ষে ভাল। এটি হাইপার টেনশন নিয়ন্ত্রণ করতে, স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং দৃষ্টিশক্তি ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন:
মাটির পুষ্টি—
জৈব ফসলে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না। ফলে স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমে। সাধারণ শাক, সবজি বা ফলে ক্যাডমিয়াম জাতীয় ভয়ঙ্কর বিষাক্ত রাসায়নিক পাওয়া যায়। জৈব চাষের সাহায্যে উৎপাদিত ফসলে তা অনেকটাই কম পাওয়া যায়।
শুধু তাই নয়, জৈব চাষ পরিবেশের জন্য উপকারি। এতে দূষণ এবং মাটির ক্ষয় রোধ করা সম্ভব। এই উপায়ে চাষ করলে পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি পায়, মাটির স্বাস্থ্য এবং উর্বরতা বৃদ্ধি হয়।