এটা কীভাবে কাজ করে
উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেহরাদুনের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. সিরাজ সিদ্দিকি লোকাল 18-কে তথ্য দেওয়ার সময় জানিয়েছেন যে, পেঁয়াজে সালফারের উপস্থিতির কারণে এটি কোলাজেন উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে যা চুলের ফলিকল শক্তিশালী করে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান হওয়ায় পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকের সংক্রমণ এবং খুশকি দূর করে। পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে লাগিয়ে তারপর ম্যাসাজ করলে রক্ত চলাচল বাড়ে। এটি চুলের বৃদ্ধিকেও দ্রুত করে। এই রস একটানা লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয়। নতুন চুল দেখা যায়।
advertisement
এইভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে
এতে চুল সুস্থ ও গোড়া থেকে মজবুত হয়। এর জন্য পেঁয়াজের রস বের করে ডিম ও নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক হিসেবে লাগাতে হবে। এটি করলে এক সপ্তাহের মধ্যে চুল ঘন ও লম্বা হবে। ব্রণ হলে খাঁটি নারকেল তেল ও পেঁয়াজের রস ৫০-৫০% অনুপাতে মিশিয়ে সেই ব্রণে লাগাতে হবে, তা চলে যাবে। একই সময়ে, কেউ যদি প্রতিদিন খালি পেটে এক চামচ পেঁয়াজের রস খান, তবে এটি পাচনতন্ত্র সম্পর্কিত রোগগুলিও নিরাময় করবে।
পেঁয়াজের রস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
ডা. সিরাজ সিদ্দিকি আরও বলেন যে, পেঁয়াজের বৈশিষ্ট্যগুলি ‘চরক সংহিতা’-তে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে পেঁয়াজ কাশি ও গ্যাস উপশমকারী। যাঁদের কাশি আছে তাঁদের উচিত পেঁয়াজ কেটে পলিথিনে রেখে পা ঢুকিয়ে মোজা পরে নেওয়া। দুই-তিন ঘণ্টা এভাবে থাকলে কফ বেরিয়ে যাবে।
এতে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অর্গানোসালফারের মতো উপাদান পাওয়া যায়, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এটি পেটের সমস্যাও দূর করে। তবে ডা. সিরাজ সিদ্দিকি জানিয়েছেঁন যে, যাদের পেঁয়াজে অ্যালার্জি আছে তাঁদের এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
