কেনই বা এই ধুলো পোড়ানো বা এই ধুনো কি? ধুনো শব্দের অর্থ গন্ধ দ্রব্য বিশেষ যা শালগাছের নির্যাস। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সমকালীন, জনপ্রিয় বনেদি বাড়ির পুজো জলেশ্বরীর পুজো প্রসঙ্গ এলেই ‘ধুনো পোড়া’-র কথা শোনা যায়। এই পুজোর ঐতিহ্যে এক বিশেষ আকর্ষণ ‘ধুনো পোড়া’। ভক্তরা বাবা পঞ্চাননের কাছে মানত করেন ধুনো দেওয়ার, আর মানত পূরণ হলে দেবীকে ধুনো অর্পণ করেন।
advertisement
আরও পড়ুন : বিধিনিষেধ পেরিয়ে বৈদিক রীতি মেনে উপনয়নে পৈতে পরল ছকভাঙা চিকিৎসক দম্পতির মেয়ে
ভক্তদের মানত পূরণ হলে তাঁরা সরা নিয়ে বসেন বাবা পঞ্চাননের সামনে। এই সরায় আগুনে দেওয়া হয় ধুনো। ধুনোর আগুন যত উঁচুতে ওঠে, ততই শুভ বলে মনে করা হয়। প্রতি বছর এই ধুনো পোড়া স্বচক্ষে দেখতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার বিভিন্ন স্থানে থেকে এই বাবা পঞ্চাননের মন্দিরে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই পঞ্চানন বাস্তু দেবতা বলে প্রচলন আছে। মহিলারা ধুনো পোড়া প্রথা পালন করতে – দু হাতে দুটি সরা ও মাথায় একটি মালসা, কূল কাঁটায় আগুন জ্বেলে তাতে ধুনো দিতে থাকেন ব্রাহ্মণ। পুরোহিত বা ব্রাহ্মণ ধুনো পোড়া অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি করেন একটি মালসা ও দুটি সরায় কুল কাঁটার ছোট ছোট টুকরো ভর্তি করে। এভাবেই আজও এই মানত পূরণের কথা চলে আসছে।