ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. সুভাষ কুমার জানান, শীতের সময় সতর্ক না হলে অনেক রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শীতের দিনে হঠাৎই শিশুদের কানে ব্যথা শুরু হতে পারে। আবার কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা হতে পারে। তবে এগুলি সাধারণ সমস্যা। শীতল বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে, তাই নাক শুকিয়ে যায়। তারপর শিশুরা নাকে আঙুল দিলে আঘাতজনিত কারণে রক্তপাত হতে পারে। তাই শিশুদের দিকে নজর রাখতে হবে। নাকে আঙুল দেওয়ার অভ্যাস এমনিতেই অস্বাস্থ্যকর।
advertisement
ফ্যারিঞ্জাইটিসের কারণে কানে ব্যথার হতে পারে। ঠান্ডা বেড়ে গেলে কানের পিছনের টিউব সংকুচিত হয়ে যায়। সেই কারণে কানের পর্দায় জলীয় ভাব তৈরি হয়। স্বস্তি পেতে অনেকেই কানে ড্রপ দিয়ে থাকেন, কেউ তেল গরম করে দেন। কিন্তু এটা করা উচিত নয়। কানের এই ব্যথা নিজে থেকেই সেরে যায়। সমস্যা হলে গরম জলে লবণ দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। উপযুক্ত শীতবস্ত্র পরতে হবে যাতে ঠান্ডা না লাগে।
শীতে আবার প্রাপ্তবয়স্কদের ল্যারিঞ্জাইটিস হয়, যা স্বরযন্ত্রের প্রদাহ সৃষ্টি করে। ভোকাল কর্ডগুলি ফুলে কণ্ঠস্বর স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা খাবার খেলেও গলা ভারী হয়ে যায়। খুসখুস করতে পারে। শুকনো কাশি হতে পারে।
টনসিল ফুলে গিয়েও কণ্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে গরম জলে লবণ দিয়ে গার্গল করা যেতে পারে। তবে ঘরোয়া উপায়ে কোনও প্রতিকার না হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মনে রাখতে হবে, শীতকালে কান বা নাক দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস শরীরে প্রবেশ করলে যাবতীয় সমস্যা তৈরি হয়। তাই গরম পোশাক টুপি, মাফলার ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। এই শীতে যেসব রোগ হয় তা ভাইরাসজনিত। সংক্রমণ এড়াতে ভিড় এড়িয়ে চলাই ভাল। যতটা সম্ভব কম ঠান্ডা খাবার খেতে হবে।
Disclamer: এই মতামত News18বাংলার নিজস্ব মত নয়৷ প্রচলিত ধারণার ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন৷ সঠিক ফল পেতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F