কলকাতা থেকে ঘুরতে আসা সুব্রত সাহা বললেন, “কলকাতার গরমের পর এই ঠান্ডা কুয়াশায় ডুবে থাকা সত্যিই অন্যরকম অনুভূতি। মেঘের লুকোচুরি দেখতে খুব ভাল লাগছে। পুজোর আগে এই ছোট্ট ট্রিপ অনেকটা স্বস্তি এনে দিল।” একসময় ছোট্ট একটি পাহাড়ি গ্রাম ছিল পানবু। আজ সেই গ্রামই পরিণত হয়েছে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিশুদ্ধ বাতাস আর পাহাড়ি নীরবতা মিলিয়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোমস্টে। ফলে পর্যটনের হাত ধরে গ্রামটির আর্থসামাজিক উন্নতিও চোখে পড়ার মতো।
advertisement
শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৪০–৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পনবু ভিউ পয়েন্ট। এখান থেকে একদিকে পাহাড়ের অপূর্ব দৃশ্য চোখে পড়ে, আবার অপরদিকে শিলিগুড়ি শহর ও ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ প্রান্তরও ভেসে ওঠে চোখে। স্থানীয়দের মতে, এখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। জলপাইগুড়ির বাসিন্দা বিবেক রায় বলেন, “এখন পর্যন্ত তিনবার এসেছি। প্রতিবারই প্রকৃতি ভিন্ন রূপে ধরা দিয়েছে। এখান থেকে শিলিগুড়ি ও ডুয়ার্স দেখা সত্যিই মনমুগ্ধকর।”
আজকের দিনে পানবু ভিউ পয়েন্ট কালিম্পং জেলার সবচেয়ে সুন্দর ও জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলির মধ্যে অন্যতম। প্রকৃতির এই অনন্য সৌন্দর্য দেখতে প্রতি দিনই ভিড় বাড়ছে পাহাড়ের কোলে। প্রকৃতির কোলে শান্ত, সবুজে মোড়া পনবু গ্রাম যেন পাহাড়ি সৌন্দর্যের এক অমূল্য রত্ন। মেঘ, কুয়াশা আর নির্মল বাতাসে ভ্রমণপিপাসুরা খুঁজে পান এক অনন্য স্বস্তি। পর্যটনের হাত ধরে গ্রামটির অর্থনৈতিক উন্নতি যেমন হচ্ছে, তেমনই প্রকৃতিও তার মোহময় রূপে প্রতিদিন নতুন করে ডাকছে মানুষের হৃদয়কে। তাই পাহাড় ভালবাসেন যারা, তাদের জন্য পানবু গ্রাম নিঃসন্দেহে এক স্বপ্নের ঠিকানা।