১৫ বছর আগে যখন তিনি প্রথম বাইক স্টান্ট শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তখন তাঁকে বলা হয়েছিল, তিনি বাঙালি এবং মহিলা তাই কঠিন এই কৌশল শিখতে পারবেন না। কিন্তু সেখান থেকেই জেদ তৈরি হয় সোমার। মন স্থির করেছিলেন, যে কোনও অবস্থাতেই তাঁর লক্ষ্য পূরণ করবেন তিনি। সেই থেকেই শুরু হয় প্রশিক্ষণ নেওয়া। এরপর রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশের এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত বিভিন্ন জায়গায় এখন তাঁকে দেখতেই ভিড় হয় মরণকূপের খেলা দেখতে।
advertisement
মেলা উৎসব অনুষ্ঠানে নানা জায়গায় এই “মত কা কুয়া” বেশ জনপ্রিয়। সেখানেই এখন সকলের নজর মহিলা স্টান্ট ওমেন সোমার দিকেই। হাতে দস্তানা, চোখে চশমা পরে দুরন্ত গতিতে বাইকের উপর চেপে হাত ছেড়ে, কখনও বাইকের উপর ব্যালান্স করে বসে দেখান বিভিন্ন ধরনের বিপজ্জনক স্টান্ট। দর্শকের হাততালিতে আরও বেড়ে যায় গতি। আজকের দিনে, সোমা তার দক্ষতা দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান ঘুরে মরণকূপের মতো বিপজ্জনক স্টান্ট প্রদর্শন করছেন, যা মানুষকে বিস্মিত ও মুগ্ধ করছে। তাঁর স্টান্টের সৌজন্যে এখন অনেকেই তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলেন এবং তার সাহসিকতার প্রশংসা করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, মহিলাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত এবং নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন : মহাকুম্ভ ২০২৫-এর জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা এবং স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা চালু ভারতীয় রেলওয়ের
বাইকের প্রতি সোমার গভীর ভালবাসা এবং তাঁর কঠোর পরিশ্রম তাকে আজ এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। বাণীপুর লোক উৎসব মেলায়ও তাঁর নেতৃত্বে বাইক ও গাড়ির স্টান্ট দেখতেই জমছে ব্যাপক ভিড়। দর্শকরাও এমন ব্যালান্সের খেলা দেখে হচ্ছেন মুগ্ধ। জেলার মেয়ে সোমার এই কৃতিত্ব আজ যেন সারা দেশের একাধিক মহিলার কাছেই অনুপ্রেরণা।