এই ভ্যারিয়েন্ট এতটাই যন্ত্রণাদায়ক যে, আক্রান্তদের গলা যেন ব্লেড দিয়ে কাটা হচ্ছে, এমন অনুভব হচ্ছে বলে জানিয়েছে অনেকেই।
😖 গলা যন্ত্রণা এত বেশি কেন?
CDC (Centers for Disease Control and Prevention) জানিয়েছে, এই ভ্যারিয়েন্টে গলা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, কথা বলা, জল খাওয়া, এমনকি থোকেও গিলে ফেলা কষ্টকর হয়ে ওঠে।
advertisement
অনেকের অভিযোগ—এমন গলা ব্যথা এর আগে কখনও হয়নি। যেন গলার ভিতর ভাঙা কাঁচ আটকে আছে।
এই ভ্যারিয়েন্টকেই বলা হচ্ছে “Razor Blade Throat” ভ্যারিয়েন্ট।
📈 কতটা ছড়াচ্ছে?
- জুন মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে আমেরিকায় যত কোভিড কেস রিপোর্ট হয়েছে, তার ৩৭ শতাংশই নিম্বাস ভ্যারিয়েন্টের।
- এই ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং আন্তর্জাতিক মহলেও তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
🩺 কী কী লক্ষণ দেখা যাচ্ছে?
- অসহ্য গলা ব্যথা
- জ্বর (অনেক সময় ১০০°F-এর ওপরে)
- কথা বলতে বা খেতে অসুবিধা
- গলা শুকিয়ে যাওয়া
- কিছু গিলতে পারা যাচ্ছে না
- অল্প শ্বাসকষ্ট বা বুকে চাপ অনুভব
কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বাংলায় Photo -Representative
🛡️ কী ভাবে প্রতিরোধ করবেন?
- ভিড় বা ঘরোয়া জায়গায় মাস্ক পরুন
- হাত ধোওয়ার অভ্যাস বজায় রাখুন (সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড)
- কোভিড টিকাকরণ সম্পূর্ণ করুন
- সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে দূরে থাকুন
- শরীর খারাপ লাগলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
সরকারি সূত্রের খবর, আক্রান্তরা মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জার মতন উপসর্গ এবং প্রবল শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা (সারি)-সহ সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন।
🏠 কী ভাবে গলা ব্যথা কমাবেন?
- প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন খেতে পারেন (ডাক্তারের পরামর্শে)
- উষ্ণ নুন জলে গার্গল করুন
- মেন্থল বা বেঞ্জোকেইন-যুক্ত লজেঞ্জ চুষলে অস্থায়ী স্বস্তি মিলতে পারে
- গরম জল, চা, স্যুপ খান
- ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন যাতে গলা শুকিয়ে না যায়
সরকারি সূত্রের খবর, আক্রান্তরা মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জার মতন উপসর্গ এবং প্রবল শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা (সারি)-সহ সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন।
⚠️ কবে ডাক্তারের কাছে যাবেন?
- কয়েক দিন জ্বর না কমলে
- শ্বাসকষ্ট হলে
- কিছু খেতে বা জল গিলতে না পারলে
- বুকে চাপ লাগলে
- দুর্বলতা বা অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম হলে
বিশেষ করে বয়স্ক, গর্ভবতী মহিলা ও দীর্ঘদিনের অসুস্থ রোগীদের জন্য এই ভ্যারিয়েন্ট বেশি বিপজ্জনক হতে পারে।
নিম্বাস ভ্যারিয়েন্ট হয়তো প্রাণঘাতী নয়, কিন্তু এর গলা ব্যথা রীতিমতো ভয়ঙ্কর। তাই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মাস্ক ব্যবহার, ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা—এইগুলো মেনে চললেই আপনি নিজেকে ও কাছের মানুষদের সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
⚠️ সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে আতঙ্ক নয়, থাকবে নিয়ন্ত্রণ।