একটা সময় ছিল যখন মানুষের প্রধান হাতিয়ার ছিল পাথর। সেই পাথরকেই কেটে রান্না করার পাত্র থেকে শুরু করে হাতিয়ার সমস্ত কিছুই তৈরি করা হতো। যদিও সেটা আদিম যুগের কাহিনী। কিন্তু আজকের দিনে যখন টেকনোলজি এত উচ্চমানের তখন সেই পুরনো পন্থায় ফিরে আসছে মানুষ।
advertisement
আদিম যুগের পন্থাকে অবলম্বন করে বড় পাথরের উপর সুস্বাদু মাংস রান্না করে সকলের নজর কাড়ছেন কালিম্পং-এর তেজস্বী রাই। এই রান্নার সবচেয়ে ভাল দিক এখানে কোনও ধরনের তেল মশলা দেওয়া হচ্ছে না। তা সত্ত্বেও এই পাথরের উপর রান্না করা মাংস নাকি বেশ সুস্বাদু। এই রান্না করতে গেলে কী কী প্রয়োজন? তেজস্বী বাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই রান্না করতে বিশেষ কোনও মশলার প্রয়োজনই নেই। আগুনের পাথরটিকে গরম হতে দিয়ে দিতে হবে। পাথর গরম হলেই তারপর নুন দিয়ে মাখানো মাংস একটি একটি করে পাথরের উপর দিয়ে দিতে হবে। তারপর স্টিক দিয়ে ওলটপালট করে দিলেই মাংসের মধ্যে থাকা অপ্রয়োজনীয় চর্বি গুলি ঝরে যাবে। একটু লালচে হয়ে আসলেই সেটা নামিয়ে দিতে হবে। লেবু মাখিয়ে সার্ভ করলে সকলে চেটে পুটে খাবে সেই মাংস।”
আরও পড়ুনফোন চুরি গেলেও ফেরত পাবেন, কোনও ক্ষতি হবে, দু’টো কাজ শুধু করে ফেলুন
কালিম্পং জেলার বাসিন্দা তেজস্বী রাই আসলে পেশায় বিদ্যুৎ দফতরের একজন কর্মী । একদিন পিকনিকে গিয়ে পাথরের উপর এই রান্নার পদ্ধতি অবলম্বন করে রান্না করেছিলেন মাংস। সেই মাংসর স্বাদ ভাললাগার পরই তিনি কালিম্পং জেলায় একটি দোকান খুলেছেন। এখন সেই দোকানে পাথরের ওপর রান্না করা মাংস খেতে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ। তিনি বলেন,” প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আমার দোকানে এই মাংস খেতে আসছেন। একটি শুকনো এলাকার পাথর নিয়ে এসে তার ওপর আজীবন মাংস রান্না করা যায়। তবে এর একটি ভাল দিক হলো মাংসে থাকা অপ্রয়োজনীয় চর্বি পড়ে যায়। ফলে সেই খাবার খেলে স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভাল।”
অনির্বাণ রায়