জানা গিয়েছে, পেশায় ট্রাক ও ট্রাক্টর চালক জালালউদ্দিন কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শেষমেশ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান। সেখানেই ধরা পড়ে, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। জরুরি অপারেশনের মাধ্যমে প্রাণ বাঁচলেও চিকিৎসকরা তাকে ভারী কোনও কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। এই অবস্থায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি জালালউদ্দিন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।
advertisement
সমস্যা সমাধানের আশায় তিনি খড়গ্রাম বিডিও অফিসে সাহায্যের জন্য যান। সেখানেই তাঁর দেখা হয় খড়গ্রাম থানার ওসি সুরজিৎ হালদারের সঙ্গে। জালালউদ্দিনের অসহায় অবস্থার কথা শুনে ওসি সাহেব তাঁকে থানায় ডেকে পাঠান এবং চায়ের দোকান খোলার একটি সম্ভাবনার কথা জানান। শুধু পরামর্শেই থেমে না থেকে, চায়ের দোকান চালাতে যা যা সামগ্রী প্রয়োজন—স্টোভ, কেটলি, কাপ, দুধ, চা পাতা থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী—সবকিছু নিজের উদ্যোগে কিনে দেন তিনি।
আরও পড়ুন : ৫০০ বছরের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়! প্রাচীন রথে নয়, কোচবিহারে এ বছর নতুন রথে আসীন হবেন মদনমোহন দেব
এই উদ্যোগ শুধু একটি দোকান নয়, এক অসহায় পরিবারকে নতুন জীবনের আশার আলো দেখিয়েছে। সাহস ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়ে নতুনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন জালালউদ্দিন। তিনি বলেন, “ওসি সাহেব আমার জন্য যেন ঈশ্বরের দূত হয়ে এসেছেন। আমি আজীবন তাঁর আশীর্বাদ কামনা করব।”ওসি সুরজিৎ হালদারের এই মানবিক রূপ দেখে খড়গ্রাম এলাকার সাধারণ মানুষও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।