আমলকির ব্যবহার
আয়ুর্বেদে আমলকিকে অমৃতফল বলা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। এই কারণেই আমলকি খাওয়া শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে এবং দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাভসর বলেন, যদি মুখে আলসার থাকে, তাহলে দিনে ৩ থেকে ৪ বার আমলকির গুঁড়ো মেশানো জল পান করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমে যায়। এর জন্য, এক গ্লাস হালকা গরম জলে এক চা চামচ আমলকির গুঁড়ো মিশিয়ে পান করা উচিত। এটি কেবল আলসার নিরাময় করে না, হজমশক্তিও উন্নত করে।
advertisement
আমলকি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মুখের ঘা দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। এটি আলসারের কারণে ফোলাভাব এবং জ্বালা কমায়। আলসারের প্রধান কারণ হল হজমশক্তি হ্রাস। আমলকি অন্ত্র পরিষ্কার রাখে এবং পেট ঠান্ডা রাখে। আমলকি আয়রনের একটি ভাল উৎস। এটি রক্তাল্পতা এবং ভিটামিন-বি-এর অভাবজনিত আলসারের সমস্যা কমায়। এক চা চামচ আমলকির গুঁড়ো হালকা গরম জলে মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার পান করুন। ইচ্ছা করলে আমলকির গুঁড়ো মধুতে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। নিয়মিত তাজা আমলকির রস বা আমলকির মিছরি খেলে আলসারের সমস্যা এড়ানো যায়।
আরও পড়ুন : রোজ সকালে খালি পেটে চুমুক দিন এই ৩ জিনিসের মিশ্রণে! পেটের চর্বি নিজের থেকেই গলে যাবে!
এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে
আমলা কেবল মাউথ আলসার থেকে মুক্তি দেয় না, এর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি চুলকে শক্তিশালী করে। ত্বকে উজ্জ্বলতা দেয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই কারণেই আয়ুর্বেদে এটিকে দীর্ঘায়ু এবং শক্তি বৃদ্ধিকারী ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যাদের গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তাদের সীমিত পরিমাণে আমলকি খাওয়া উচিত।