স্থানীয় ভাষায় ‘মুনথুম’ কথার অর্থ হল ‘চাঁদ কা উজালা’ অর্থাৎ পূর্ণিমা। পূর্ণিমার রাতে সুন্দর দেখায় এই পাহাড়ি গ্রামকে। যদিও এই গ্রাম ঘন সবুজ জঙ্গলে ঘেরা। নিরিবিলি পরিবেশ, পাখির ডাক সব নিয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে মুনথুম গ্রাম। শহরের কোলাহল থেকে একদম দূরে একটি নির্জন, নিরিবিলি পরিবেশে এই গ্রামটি অবস্থিত। তবে শুনতে পাবেন নদীর স্রোতের আওয়াজ, জঙ্গলে পাখিদের গান, আর শুনতে পাবেন মৃদু হাওয়া চলাকালীন পাতা নড়ার আওয়াজ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শীত এলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের যন্ত্রণা! এই ঘরোয়া টোটকা মানুন, ফল মিলবে ৫ দিনে
মুনথুমে রাত কাটানোর জন্য হোমস্টের সুবিধা রয়েছে। পাহাড়ের ঢাল তৈরি হয়েছে কটেজগুলো। বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি কটেজ। চারদিক ঢাকা গাছগাছালিতে। এখান থেকে সূর্যোদয় দেখার মজাই আলাদা। তাছাড়া মুনথুম গ্রাম থেকে দেখা যায় কালিম্পং শহর। মুনথুমের খুব কাছেই অবস্থিত পানবুদারা। এই পানবু ভিউ পয়েন্ট থেকে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার। তার সঙ্গে তিস্তার অপূর্ব দৃশ্য। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন মুনথুম।
শিলিগুড়ি থেকে মুনথুম প্রায় ৮০ কিমি। শেয়ার গাড়ি কিংবা গাড়ি রিজার্ভ করে পৌঁছে যেতে পারেন এই পাহাড়ি গ্রামে। মুনথুমের কটেজে রাত কাটানোর খরচ থাকা-খাওয়া নিয়ে মাথাপিছু ১৫০০-২০০০ টাকা। সুতরাং, কম খরচে কালিম্পংয়ের বুকে বড়দিন কিংবা নিউ ইয়ার কাটাতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন আপনি পাহাড়ি গ্রাম থেকে।
অনির্বাণ রায়