আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সের ঝুঁকি বেশি বাচ্চাদের, সন্তানকে সুরক্ষিত রাখতে অভিভাবকদের যা জানা উচিত এখানে রইল
যৌনতা: মাঙ্কিপক্সের বেশিরভাগ সংক্রমণই দীর্ঘসময়ের জন্য খুব ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে ঘটেছে। কেস পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে, ৯৪ শতাংশ মাঙ্কিপক্সই পুরুষের সঙ্গে পুরুষের যৌন মিলনের কারণে ছড়িয়েছে। তবে সর্বদা এই কারণেই ছড়াবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই। সংক্রামিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
advertisement
তবে কি যৌনতা থেকে বিরত থাকা উচিত: বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানুষকে যৌনতা থেকে বিরত থাকতে বলা কার্যত অসম্ভব। তাই উপসর্গ দেখা দিলে সেটা গুরুত্ব সহকারে বিবচেনা করা উচিৎ। তাছাড়া যৌন-ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগে নিজের এবং সঙ্গীর শরীরে কোনও নতুন ফুসকুড়ি রয়েছে কি না সেটাও পরীক্ষা করে দেখতে হবে। জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি বা মাথাব্যথার মতো ফ্লু-এর উপসর্গ থেকেও সতর্ক থাকাই বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন: সাবধান! বেশি ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেলে হাঁটার ক্ষমতা লোপ পাবে, আর কী হতে পারে? পড়ুন
অ-যৌন যোগাযোগ: জুলাই মাসে ‘দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে’ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে যৌন সম্পর্কে না জড়িয়েও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা মাত্র ১ শতাংশ। এর মানে হল রেস্তোরাঁ, সিনেমা, থিয়েটার বা কনসার্টের মতো জনবহুল জায়গায় মাঙ্কিপক্সের খুব একটা ঝুঁকি নেই। মাথায় রাখতে হবে, ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ না হলে সংক্রমণের ঝুঁকি সবসময়ই কম থাকে।
মাঙ্কিপক্সের সবচেয়ে বড় লক্ষণ: মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ হল ফুসকুড়ি। এটা ত্বকে উত্থিত ক্ষতর মতো দেখতে হয়। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন এবং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুসারে, এখনও পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত অন্তত ৯৫ শতাংশ আক্রান্তের ত্বকেই অগভীর ক্ষত হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের ক্ষত সাধারণত বেদনাদায়ক হয় না, শুধুমাত্র যৌনাঙ্গের ক্ষতগুলি ছাড়া। এগুলো মোকাবিলা করা খুব কঠিন হতে পারে। শরীরের কোথাও নতুন, অপ্রত্যাশিত ফুসকুড়ি তৈরি হলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ: জ্বর, ঠাণ্ডা, ফোলা, লিম্ফ নোড বা শরীরের ব্যথা থাকলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। ফ্লু-এর মতো এই লক্ষণগুলি সাধারণত ফুসকুড়ি হওয়ার চার বা পাঁচ দিন আগে শুরু হয়। মাঙ্কিপক্সের পরীক্ষায় কমপক্ষে এক থেকে দুটি সোয়াব করা হয়। যদি মনে হয়, মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ রয়েছে যা ফ্লুর মতোই এবং কিন্তু কোনও ফুসকুড়ি নেই, পরীক্ষা না করা পর্যন্ত সিদ্ধান্তে না যাওয়াই ভাল। এই সময় বিশেষজ্ঞরা সাময়িকভাবে অন্যদের সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ যোগাযোগ এড়ানোর পরামর্শ দেন।