মাইক্রোগ্রিন মূলত ভোজ্য তরুণ সবুজ শাক, যা বীজপত্রের পর প্রথম দিককার আসল পাতা গজানোর সময় সংগ্রহ করা হয়। আকারে ছোট হলেও স্বাদ, পুষ্টিগুণ ও বাজারদর, তিন দিক থেকেই এগুলি এখন চাহিদার শীর্ষে। সালাদ, স্যুপ, স্যান্ডউইচ থেকে শুরু করে হোটেল ও রেস্তরাঁয় সাজসজ্জার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় মাইক্রোগ্রিন।
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ার এই বাড়িতে শোনা যায় দিনরাত ‘খট খট’! ব্যাপারটা কী? জানলে অবাক হবেন আপনিও
advertisement
কোফামের উদ্যোগে কলেজ পড়ুয়াদের হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে কীভাবে গাজর, মুলো, রাই শাক, লাল শাক, সানফ্লাওয়ার প্রভৃতি থেকে মাইক্রোগ্রিন উৎপাদন করা যায়। প্রশিক্ষণ নিতে দক্ষিণবঙ্গ, এমনকী কলকাতা থেকেও শিক্ষার্থীরা আসছেন। প্রত্যেকটি মাইক্রোগ্রিন তৈরি হতে ভিন্ন সময় লাগে, তাই ধাপে ধাপে শেখানো হচ্ছে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী ঘরে বসে সফলভাবে মাইক্রোগ্রিন চাষ শুরু করেছেন। প্রশিক্ষণার্থী প্রিয়াঙ্কা জাসওয়ালের কথায়, “মাইক্রোগ্রিন শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, ভবিষ্যতে এটিকে আয়ের বড় উৎস হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।” অন্যদিকে, কোফামের অধ্যাপক অমরেন্দ্র পান্ডে জানান, “এখন বহু যুবক-যুবতী এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এবং নিজেদের সেটআপ তৈরি করে বাজারে বিক্রিও করছেন। মাইক্রোগ্রিনের বাজারচাহিদা অনেক, তাই এই উদ্যোগ আগামীদিনে কর্মসংস্থান তৈরি করবে এবং সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে স্বাস্থ্যকর খাবার পৌঁছে দেবে।”
অল্প খরচে সহজে তৈরি হওয়ায় এই নতুন উদ্যোগ তরুণ প্রজন্মকে ব্যবসার পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গে মাইক্রোগ্রিন চাষ এখন শুধুই শখ নয়, হয়ে উঠছে এক নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।