পূর্ব বর্ধমানের তৈরি এই মন্ডার স্বাদ নিতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন মিষ্টিপ্রেমীরা । আর এই বিপুল পরিমাণ চাহিদার জোগান দিতে দৈনিক প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কেজি ছানার মন্ডা তৈরি করেন এখানকার মিষ্টি ব্যবসায়ীরা । তবে এখানকার মন্ডা তৈরির বিশেষ কিছু পদ্ধতি আছে । এই বিষয়ে মিষ্টি দোকানে কর্মরত এক কর্মচারী বলেন , ” প্রথমে ছানা, চিনি এবং গুড়ের পাটালি একসঙ্গে কড়াইয়ে দিয়ে গরম করে ঘেঁটে নেওয়া হয় । তারপর তা অল্প ঠান্ডা করে বিশেষ পদ্ধতিতে মন্ডা তৈরি করা হয় । “
advertisement
আরও পড়ুন : অর্শ, রক্তাল্পতায় কষ্ট পাচ্ছেন? আপনার সমস্যার সমাধান এঁচোড়! জানুন এই সবজির অঢেল উপকারিতা
কাটোয়া বর্ধমান রোডে রয়েছে এই নিগন গ্রাম । জানা গিয়েছে, সারাদিন এই কাটোয়া বর্ধমান রোডে যারা যাতায়াত করেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ জনই একবার হলেও দাঁড়িয়ে যান এই নিগন বাসস্ট্যান্ডে। এই জায়গায় এসে মন্ডার স্বাদ উপভোগ করেন তাঁরা । অনেকে বাড়ির জন্য আবার আত্মীয় স্বজনের জন্যও এই মন্ডা প্যাকিং করে নিয়ে যান । রীতিমতো মন্ডা কেনার জন্য দোকানে সবসময় ভিড় লেগেই থাকে । নিগনের মন্ডার চাহিদা যেন সত্যিই তুঙ্গে । এই প্রসঙ্গে এক ক্রেতা বলেন , তিনি এখান থেকেই মন্ডা খান । তাঁর কথায় এখানকার মন্ডা আমেরিকা, আরব পর্যন্ত গিয়েছে । আরও বলেন কর্মচারীরা দীর্ঘ পরিশ্রম করে যে মন্ডা তৈরি করেন তার স্বাদ অসাধারণ।
চাইলে আপনারাও এই নিগনের মন্ডার স্বাদ একবার হলেও চেখে দেখতে পারেন । মন্ডার স্বাদে মন ভরবে সকলেরই।