সুখাসন
সুখাসন বা ধ্যান। এই আসনটি শরীর থেকে নেতিবাচক শক্তি মুক্ত করতে সহায়তা করে। পিঠ সোজা এবং পা সামনে রেখে মেঝেতে বসতে হবে। ডান পা বাম হাঁটুর নীচে এবং বাম পা ডান হাঁটুর নীচে রাখতে হবে। চোখ বন্ধ করে কমপক্ষে এক মিনিট এই অবস্থানে বসে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হবে। এর পরে পায়ের অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে।
advertisement
উত্থিতা ত্রিকোণাসন
পা ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। বাম দিকে বেঁকে এবং বাম হাত দিয়ে বাম পা স্পর্শ করার চেষ্টা করতে হবে। কমপক্ষে ৩০ সেকেন্ডের জন্য ওই অবস্থায় থাকতে হবে। একই ভাবে অন্য দিকেও একই পুনরাবৃত্তি করতে হবে। এই যোগাসনটি উদ্বেগ দূর করে। মস্তিষ্ককে চাপমুক্ত করে ভারসাম্যপূর্ণ এবং শান্ত বোধ করায়।
অর্ধ চন্দ্রাসন
সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। বাম পা ডান দিকে বেঁকিয়ে শরীরের পাশে নিয়ে আসতে হবে। শরীরের সঙ্গে একটি টি (T) আকৃতি তৈরি করে মেঝেতে রাখা ডান হাত স্পর্শ করতে হবে। এই আসনটি সহজ নয়। তবে নিয়মিত অনুশীলন করলে মনে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। স্নায়ুর শক্তি বৃদ্ধি করে।
আরও পড়ুন- ঠোঁট, নাক নাকি গোপনাঙ্গ! শরীরের তিল-ই বলে দিতে পারে আপনি কেমন মানুষ
বিপরীতা করণী
দেয়ালের দিকে মুখ করে মেঝেতে বসতে হবে। দেখতে অনেক টা এল (L) আকৃতির হবে। শরীরের সঙ্গে পা'টি এল আকৃতির হবে। ভালো ভাবে অনুশীলন করার জন্য পীঠের নীচে একটি সাপোর্ট নেওয়া যেতে পারে। শারীরিক ও মানসিক অবসাদ মুক্ত করে ইন্দ্রিয়কে শান্ত করে এই যোগাসন।
বালাসন
মেঝেতে হাঁটু গেড়ে বসতে হবে। সামনে ঝুঁকে শরীর বেঁকে থাকবে। দুই বাহু সামনে প্রসারিত করতে হবে। এই আসনটিকে অভ্যাসে পরিণত করলে মাথা হালকা অনুভব হবে এবং ঘুমের উন্নতি ঘটবে।