তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ভবিষ্যতের দিকে হা-পিত্যেশ করে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই। বরং সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে প্রস্তুত হতে হবে। কী ভাবে? তাঁরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। গড়ে তুলতে হবে হার্ড ইমিউনিটি। সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং যে কোনও সংক্রামক রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে ইমিউনিটি। এজন্য অনেকেই স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলছেন। নিয়মিত ওয়ার্ক আউটও করছেন। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অন্যান্য উপায়ও রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল, মাসাজ।
advertisement
আরও পড়ুন: ক্যানসার রুখতে কার্যকর, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে! এক টুকরো বিটেই সুস্বাস্থ্যের হাতছানি...
মাসাজের উপকারিতা:
মাসাজের ফলে যখন শরীর, মনে নির্ভার ভাব আসে। কারণ, এ সময় পুরো নার্ভাস সিস্টেম বিশ্রাম নেয়। ফলে শরীরের কোনও অঙ্গে ব্যথার বোধ থাকলে তা ক্রমশ কমে আসে, আরাম হয়। নার্ভাস সিস্টেম রিল্যাক্সড থাকার ফলে শরীরে হরমোন উৎপাদনের হারেও স্বাভাবিকতা আসে। সেই সঙ্গে কর্টিকোস্টেরয়েডের মতো স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ কমে, বাড়ে এন্ডরফিনের উৎপাদন। এন্ডরফিনের প্রভাবেই মন ভালো থাকে, হাসি-খুশি ভাব আসে জীবনে। আর যদি কেউ ভিতর থেকে খুশি থাকে তাহলে ইমিউনিটিও বাড়ে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ম্যাসাজের ফলে শরীরে লিম্ফোসাইটের সংখ্যা বাড়ে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আরও পড়ুন: ত্বকে দেখা দিয়েছে ব্ল্যাকস্পট? দাগ নিয়ে হতাশ? রইল দাগ দূর করার সহজ উপায়...
মাসাজের সেরা সময়:
দিনের যে কোনও সময় মাসাজ নেওয়া যায়। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে অবসর সময়টা বেছে নিতে হবে। যে সময় ব্যস্ততার লেশ মাত্র থাকবে না। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি ভোরে মাসাজ নেওয়া যায়। দিনের শুরুতে হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে। মনও থাকে সতেজ। এছাড়া দুপুরে খাওয়ার এক ঘণ্টা পরে বা বিকালের দিকেও মাসাজ নেওয়া যায়।
কী করবেন, কী করবেন না:
বিশেষজ্ঞরা খালি পেটে মাসাজ নিতে বারণ করেন। কারণ মাসাজের ফলে পাচনতন্ত্র উদ্দীপিত হয়। যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই খুব ভোরে মাসাজের পরিকল্পনা থাকলে হালকা জলখাবার করে নেওয়াই ভালো। তবে ভরা পেটে মাসাজ নিতেও নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে শরীর আইঢাই করতে পারে। তাই মাসাজ নেওয়ার আগে এটা মাথায় রাখতেই হবে।
কোন তেলে মাসাজ?
মাসাজের তেল সাধারণত গাছের ফুল, বাকল বা পাতা থেকে তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে ইউক্যালিপটাস, লবঙ্গ, ল্যাভেন্ডার এবং চা গাছের তেল ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। যা স্নায়ুতন্ত্র ঠিক রাখে এবং পাকস্থলীর সমস্যা রোধ করতে সহায়তা করে। সঙ্গে ইমিউনিটি বাড়ায়।
