মুসুর ডাল
আয়রনে সমৃদ্ধ নিরামিষ খাবার বললেই লাল রঙের সৌজন্যে সবার আগে মুসুর ডালের কথা মাথায় আসে। তবে, শুধুই আয়রন নয়, এই ডাল ফাইবার এবং প্রোটিনও যথেষ্টই সরবরাহ করে শরীরে। তাতে পেট ভরা থাকে, এনার্জিরও অভাব হয় না।
তোফু
আজকাল তোফু খাওয়ার চল বেশ বেড়েছে। অনেকটা পনিরের মতোই, তবে তা যে কোনও স্বাদ বেশ শোষণ করতে পারে। তাই যাঁদের পনির নিয়ে সমস্যা রয়েছে, তাঁরা তোফু খেয়ে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে পারেন।
advertisement
পালং শাক
বাঙালির বড় প্রিয় এই শাকও আয়রনে ঠাসা। টমেটোর সঙ্গে যুগলবন্দি হলে তা শরীরে অনেক বেশি কার্যকরভাবে আয়রন শোষণে সাহায্য করে থাকে।
কুমড়োর বীজ
স্যালাডে খাওয়া হোক বা ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে, কুমড়োর বীজ বেশ সুস্বাদু এক খাবার। শরীরে আয়রন জোগান দিতে এরও জুড়ি মেলা ভার!
কাজুবাদাম
অনেকেই অবাক হবেন, তবে কাজুবাদামও শরীরে বেশ ভাল পরিমাণ আয়রন জোগান দেয়। রান্নায় হোক বা এমনি খাওয়া- কাজুবাদাম ভালবাসেন না, এমন মানুষ বিরল।
ছোলা
বাঙালির এও এক অতিপ্রিয় খাবার। স্যালাড হোক, কোনও তরকারিতে দিয়ে হোক বা সরাসরি ঘুঘনির মতো রান্না করেই হোক, ছোলা আয়রন আর সুস্বাদ দুইয়ের ভারসাম্যই বজায় রাখে।
পেস্তা
কাজুর মতো এই বাদামও আয়রনের এক অতি সুলভ ভাণ্ডার। একটা-দুটো করে মুখে ফেললেই হল, তার বেশি আর কিছুই করতে হবে না। রান্নায় যোগ করা বা না করা সে নিজের মর্জি!
কিনোয়া
বাঙালির ঘরে আজকাল এই খাবারও বেশ জায়গা করে নিয়েছে। ভাতের বিকল্প তো বটেই, ফলে, সে দিক থেকে যেমন অভিযোগের জায়গা থাকে না, তেমনই শরীরও কিনোয়া খেলে পর্যাপ্ত আয়রন পায়।
ব্রকোলি
অনেকেই ভাবেন, আয়রনে সমৃদ্ধ খাবার লাল রঙের হওয়া স্বাভাবিক। ব্রকোলি সে ভুল ভেঙে দেয়। সেদ্ধ, ভাজা, তরকারি- যে ভাবে খুশি খাওয়া যায়। সঙ্গে ভিটামিন সি-এর উপস্থিতি আয়রন শোষণে আরও বেশি কাজে আসে।
ডার্ক চকোলেট
এটার কথা আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় অনেকেই ভাবতে পারবেন না! আসলে, যে সব চকোলেটে কোকোর মাত্রা বেশি, তা আয়রনের এক ভাণ্ডার। ফলে, খেতে পারলে তা যেমন এক দিকে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করবে, অন্য দিকে আবার মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা কমিয়ে শরীরে সুগারের মাত্রাও ঠিক রাখবে।