অ্যান্টি ডায়াবেটিক
আমের খোসা উপকরণ হিসেবে তৈরি চা বা ডিটক্স ওয়াটার পান করতে পারেন৷ এই ফলের খোসায় অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদান আছে৷ আমের খোসায় ম্যাঙ্গিফেরিন বলে যে উপকরণ আছে, সেটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে৷
প্রাকৃতিক কীটনাশক
আমের খোসায় ম্যাঙ্গিফেরিন এবং বেঞ্জোফেনোন বলে যে উপাদান আছে, সেগুলি প্রাকৃতিক কীটনাশক৷ আমের খোসার নির্যাসের গুণে কীটপতঙ্গের আক্রমণ থেকে রক্ষা রায় ফসল৷ রাসায়নিক কীটনাশকের তুলনায় এটা অনেক গুণ বেশি উপকারী৷
advertisement
অতিবেগুনি রশ্মি রোধক
আমের খোসায় পলিফেনল এবং ক্যারোটেনয়েডস আছে৷ ফলে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে৷ সানবার্ন বা রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বককে ভাল রাখে৷
মৌখিক স্বাস্থ্য
আমের খোসায় বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগ এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান আছে৷ এই উপকরণ ওরাল হেল্থ ঠিক রাখে৷ আমের খোসা বা তার থেকে তৈরি মুখশুদ্ধি দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য বজায় রাখে৷
আরও পড়ুন : কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগ এড়াতে চান? ডায়েটে নিয়মিত রাখুন এই ঘরোয়া খাবারগুলি
ক্ষত প্রশমন
গবেষণায় প্রকাশ, আমের খোসায় আছে ট্যানিনস এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস যৌগ৷ এই উপাদান ক্ষত সারিয়ে তোলে৷ আমের খোসার নির্যাস থেকে তৈরি মলম লাগালে ছোটখাটো ক্ষত থেকে নিরাময় ও আরাম মেলে৷ সংক্রমণের হার কমায়৷
অন্যান্য গুণ
আমের খোসায় আছে অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি বৈশিষ্ট্য৷ আর্থ্রাইটিস, ইনফ্লেম্যাটরি বাওয়েল ডিজিজের মতো সমস্যা সেরে যায়৷ তাছাড়া আমের খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার৷ কার্ডিওভাসক্যুলার ডিজিজ, বদহজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয় ফাইবারের গুণে৷
আমের খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন৷ তার পর চাটনি, স্মুদিতে মিশিয়ে ব্যবহার করুন৷ চা, ডিটক্স ওয়াটারের উপকরণ হিসেবে এই উপাদান প্রয়োজনীয়৷ সামান্য তেল বা ঘিয়ে নুন ও সরষে ফোড়ন দিয়ে আমের খোসা সাঁতলে নিন৷ এই উপাদান খেতে পারেন ভাত বা রুটির সঙ্গে৷ আমের খোসা খুব ভাল করে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে নিন৷ নয়তো এয়ার ফ্রায়ারে ৭-১০ মিনিট বেক করে এয়ারটাইট কৌটোয় রেখে দিন৷ তার পর অনেক দিন ধরে ব্যবহার করুন প্রয়োজনমতো৷