শুকনো, ফাটা ঠোঁটে লিপস্টিক দীর্ঘস্থায়ী হয় না। লিপস্টিককে দীর্ঘস্থায়ী করতে, ঠোঁটে মৃদু এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করে ময়শ্চারাইজিং লিপ বাম লাগাতে হবে। এটি ঠোঁটের রঙকে সামঞ্জস্য দেবে এবং সারা দিন স্থায়ী রাখতে সহায়তা করবে। (Make Up Tips)
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে দারুণ কার্যকরী কোরিয়ান পদ্ধতি, এর উপকারিতা জানেন কি?
লিপ পেনসিলে লিপস্টিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় মোম থাকে। সেই কারণেই লিপ পেনসিল ব্যবহার করলে লিপস্টিক অনেক বেশি সময় ঠোঁটে স্থায়ী হয়। এর জন্য লিপস্টিকের শেডের সঙ্গে মিলিয়ে লিপ পেনসিল ব্যবহার করতে হবে। নাহলে নিউট্রাল বা সব লিপস্টিকের সঙ্গে মানানসই হয় এমন একটি নিরপেক্ষ লিপ লাইনার বেছে নিতে হবে। ঠোঁটের আউট লাইন করে নিয়ে তার পরে লিপ পেনসিল ব্যবহার করতে হবে। (Make Up Tips)
advertisement
মুখের বাকি অংশের মতো ঠোঁটেরও কিছু প্রস্তুতি দরকার! যেমন লিপ প্রাইমারের ব্যবহার। প্রাইমার লিপস্টিকের জন্য একটি মসৃণ পিচ তৈরি করে এবং লিপস্টিকটিকে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখে। ফাউন্ডেশনও প্রাইমারের মতো একই কাজ করে এবং প্রাইমারের পরিবর্তে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শীতে খুশকি থেকে চুল ঝরছে? এই এক টোটকাতেই হবে বাজিমাত!
ব্লটিং দ্বারাও লিপস্টিক দীর্ঘস্থায়ী করা যায়। ঠোঁটের মধ্যে একটি টিস্যু দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের জন্য হালকা চাপ দিতে হবে। তার পর একটি নরম ব্রাশ দিয়ে সেটিং বা ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার নিয়ে টিস্যুতে আলতো করে ছড়িয়ে দিতে হবে। সব শেষে, আরেকটি রঙের কোট লাগালেই নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। ব্লটিং ঠোঁট থেকে বাড়তি তেল শুষে নেয় এবং লিপস্টিক ঘেঁটে যেতে দেয় না।
সঠিক লিপস্টিক নির্বাচন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। দীর্ঘস্থায়ী লিপস্টিকগুলিতে অতিরিক্ত রঙ এবং কম ময়শ্চারাইজিং এজেন্ট থাকে; এগুলো ক্রিম দেওয়া লিপস্টিকের চেয়ে বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়। দীর্ঘস্থায়ী ঠোঁটের রঙ পেতে ম্যাট বা ওয়াটারপ্রুফ লিপস্টিক ব্যবহার করাই ভালো। গ্লস এবং অস্বচ্ছ লিপস্টিকগুলি ব্যবহার না করাই ভালো কারণ এই জাতীয় লিপস্টিক দ্রুত বিবর্ণ হয়ে যায়।