আঠালো সিবাম ত্বকের ছিদ্রের ভিতর মৃত চামড়া এবং ময়লা আটকে রাখে। এটি ব্রণ-সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া যেমন 'প্রোপিয়নিব্যাক্টেরিয়াম অ্যানেস' এর বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে দেয়। ফল ব্রণর সঙ্গে ত্বকে জ্বালাভাব দেখা যায়। এর ফলে অনেক সময় সাদা পুঁজও বের হয়।
আরও পড়ুন- beard itching: বর্ষায় দাড়ি খুব চুলকোচ্ছে? কীভাবে বাঁচবেন দেখে নিন!
advertisement
লেবেল দেখে নিতে হবে: ব্রণপ্রবণ ত্বকে সবসময় তেল-মুক্ত এবং নন-কমেডোজেনিক পণ্য বাছাই করা উচিত। নাহলে পণ্যগুলো ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে দেবে। এটা সিবামের উৎপাদনও বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে ব্রণ হতে পারে।
অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েশন: এক্সফোলিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অতিরিক্ত হয়ে গেলে সেটা ক্ষতিকর। ব্রণ প্রবণ ত্বক হলে বেশি স্ক্রাব না করাই উচিত। এতে ত্বকে মাইক্রো টিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। রাসায়নিক এক্সফোলিয়েশন, এএইচএ, বিএইচএ ভিত্তিক পণ্যগুলো সবচেয়ে ভালো। তবে সপ্তাহে দুবারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। এএইচএ, বিএইচএ-এর ঘনত্ব চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সুপারিশ অনুযায়ী হওয়া উচিত।
ভুল পরিষ্কার: ওভার ক্লিনজিংয়ের ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হারায় ত্বক। সঠিক ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। ব্রণ প্রতিরোধ করতে স্যালিসিলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারক্সাইড ভিত্তিক ক্লিনজার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
ঠিক ভাবে মেকআপ না তোলা: ত্বকের ছিদ্রে মেকআপ আটকে যায়। তাই এগুলো ভালো করে পরিষ্কার করা উচিত। নাহলে ছিদ্র বুঝে গিয়ে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা: প্রখর রোদ ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। এর ক্ষতি পোষাতে ত্বক অতিরিক্ত সেবার উৎপাদন করতে শুরু করে। এর ফলে ত্বক তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। তাই ব্রণ হতে পারে।
আরো পড়ুন- Allergies during monsoon: বর্ষায় নাজেহাল করে দেয় এই ৫ অ্যালার্জি, দেখে নিন মুক্তির উপায়!
ব্রণ নিরাময়: ব্রণর তীব্রতার উপর এর চিকিৎসা নির্ভর করে। সাধারণত রেটিনয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যাজেলেইক অ্যাসিড বা কিছু হরমোনের ওষুধ দেওয়া হয়। তবে এছাড়া কিছু বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এর মধ্যে ফোমিং ক্লিনজার ব্যবহার করা, সকালে স্যালিসিলিক অ্যাসিড সিরাম লাগানো অন্যতম। রাতে শোবার আগে মুখে রেটিনল সিরাম লাগানো যায়। এটা ব্রণ এবং দাগ দূর করতে দারুণ কাজ করে।