আমাদের দেশে এমন কিছু চাল আছে যা রান্না করতে হয় না। মানে আগুনে বসানোর তো দরকারই নেই। বোকা বোকা মনে হচ্ছে তো শুনে! কিন্তু এটাই সত্যি। অসমে এক ধরণের চাল পাওয়া যায় যার নাম 'বোকা' চাল। এই চাল রান্না করতে দরকার শুধু ঠান্ডা জল। বা নর্মাল জল।এই চাল কিছুক্ষণ ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রাখলেই ফুলে গিয়ে একদম ধবধবে সাদা ভাত হয়ে যাবে। এই চালটি উৎপন্ন হয় লোয়ার অসমে।
advertisement
গরম জল হলে শুধু মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট চাল ভিজিয়ে রাখুন। যদি ঠান্ডা জল হয় তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে ভিজিয়ে রাখতে হবে ৩০ মিনিট। তাহলে একেবারে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে এই চাল। এই ধরনের চাল বিশেষ করে অসমের বাসিন্দারাই খেয়ে থাকেন। অসমে একটি নামকরা উৎসব মাঘ বিহু তে, এই ধরণের চাল খাদ্য হিসেবে বিশেষ ভাবে ব্যবহার করা হয়। এই চাল ভৌগলিক স্বীকৃতি লাভ করেছিল ২০১৮ সালে। একে অনেকেই “কোমল রাইস” অথবা “জাদুর রাইস”বলে থাকেন।
তবে শুধু অসম নয় এই চালের (Magic Rice) চাষ শুরু হয়েছে বিহারেও। বিহারের বসবাসকারী কৃষক বিজয় গিরি। এই কৃষক তাঁর গ্রামে এমন একটি ধান চাষের উদ্যোগ শুরু করেছেন যা এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র আসামের ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে মাজুলা দ্বীপে চাষ করা হয়। সব থেকে বড় কথা হল, এই চাষের জন্য কোন রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন: মাধুরীর নতুন বাড়ির মাসে কত ভাড়া জানেন? ভাবতেও পারবেন না!
এই ধানের (Magic Rice) একটি বিশেষত্ব হল, এটি রান্না করার জন্য কোন রান্নার গ্যাস প্রয়োজন হয় না। এই অভিনব চালটি শুধুমাত্র সাধারণ জলে এক ঘণ্টার জন্য ভিজিয়ে রাখলে ভাতের জন্য তৈরি হয়ে যায় এই চাল। এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর সামান্য গ্যাসে চাপালেই ভাত তৈরী হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাতের নেশা কাটেনি! নিজের বিয়ে বাদ দিয়ে যা করলেন কনে! ভাইরাল ভিডিও
এই চাষের খরচ বেশি কিছু নয়। যেহেতু রাসায়নিক সার লাগে না তাই এই চাষ করতে বেশি খরচ হয় না (Magic Rice)। ১৫০ থেকে ১৬০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যায় এই চাল। বাজারে এই চাল বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।এই চালের আরও একটি বড় গুরুত্ব হলো, এই চাল সুগার ফ্রি। এই চালের মধ্যে থাকে অনেক পরিমানে কার্বোহাইডেট এবং প্রোটিন। অত এব পুষ্টি গুণেও এই চাল আমরা রোজ যে চাল খাই তার সমান। এই চালের ভাত কিন্তু একেবারে রান্না করা ভাতের মতোই খেতে হয়।