লুচি-মাংসের অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটছে একই গতিতে। যে রেকর্ড কেউ কোনওদিন ছুঁতে পারেনি। বর্তমানে বিরিয়ানি, চাউমিনের জনপ্রিয়তা অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু বড়দিনের পিকনিকে লুচি-মাংসের কাছে তা কয়েক আলোকবর্ষ দূরে।
প্রতিবছর বড়দিনে রেকর্ড মানুষের সমাগম হয় কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় আর সেই পিকনিকে সিংহভাগ মানুষের মেনুতে রয়েছে লুচি আর মাংস। কেন লুচি আর মাংস এতটা পছন্দ? সোদপুরের বাসিন্দা সেবক দাস পরিবারের সঙ্গে এসেছিলেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে বেড়াতে। তিনি বলেন, “লুচি আর মাংস পছন্দ করে না এমন বাঙালি খুজে পাওয়া যাবে না। তাছাড়া যেহেতু চিড়িয়াখানায় বেশিরভাগ মানুষ পরিবারের সঙ্গে এসে থাকেন তাই এখানে ঘরোয়া খাবার খেতেই সবাই পছন্দ করেন। লুচি মাংসের পাশাপাশি আনা হয়েছে কলা, ডিমসেদ্ধ, পাউরুটি, আলুরদম, নলেন গুড়ের মিষ্টি ও জয়নগরের মোয়া।”
advertisement
আগড়পাড়ার বাসিন্দা স্বপন রায় চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘ চিড়িয়াখানায় মানুষ সাধারণত সকাল সকাল আসে। কিন্তু অত সকালে বিরিয়ানি বা চাওমিন পাওয়া যায় না। চাওমিন যদিও বা বাড়িতে বানানো হয় বিরিয়ানি সাধারণত বাড়িতে হয় না। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে বাড়িতে তৈরি মাংস ও লুচি কম সময়ে বাড়িতে বানিয়ে নেওয়া যায়। যেহেতু চিড়িয়াখানায় এলে অনেকটা সময় থাকতে হয় সেক্ষেত্রে বেশি মশলাদার খাবার খেলে অস্বস্তি হতে পারে। সেই কারণেই বাড়ির তৈরি হালকা খাবারই সবার পছন্দের।মাংস লুচির পাশাপাশি কেক, মিস্টি, মোয়া, কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি থাকে মেনুতে।’’
আরও পড়ুন : গাছের আঠা আর ভুলে যাওয়া ২ সবজি! খেলেই নামমাত্র খরচে সুস্থতা হাতের মুঠোয়, মত পুষ্টিবিদের
তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী নীলিমেশ দে বলেন, “আগে মানুষ মাঝেমধ্যে বাইরে গিয়ে চপ কাটলেট খেতেন। এখন তো বাইরের খাবারই বেশি খেতে হয়। বিরিয়ানি, চাউমিন, রোল ইত্যাদি খেয়েই থাকতে হয়। সেই জায়গায় লুচি মাংস যেন অমৃত। তাই এর কোনও বিকল্প নেই।”
সকালের দিকে একচেটিয়া লুচি মাংস থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু একটু করে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করে। দ্বিতীয় ধাপে যে দর্শনার্থীরা আসেন তাঁদের মেনুতে জায়গা করে নেয় বিরিয়ানি, চাউমিন, সব্জি-পুরি ইত্যাদি। একাধিক জায়গা যারা বেড়াতে যান সেইসব দর্শকদের বেশিরভাগকেই বাইরের খাবারের উপরই নির্ভর করতে হয় আর তখন এর যোগানও থাকে। কিন্তু লুচি মাংসের তুলনায় তা অনেক কম।