অন্য দিকে, আরেকটা ব্যাপারও মাথায় রাখা দরকার- ছায়াছবি তো বানানোই হয় সিনেমা হলের পর্দার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের মাপ মাথায় রেখে, সেই পর্দায় প্রতিফলিত হয়ে কতটা লার্জার দ্যান লাইফ এক্সপেরিয়েন্স দেওয়া যায় দর্শককে, সেটা নির্মাতাদের হিসেবের মধ্যেই ধরা থাকে। ফলে, সিনেমা হলে বসে ছবি দেখার মজাই আলাদা!
কিন্তু, ক্ষণিকের মজার জন্য কি জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা উচিত হবে? ইতিমধ্যে নানা লেখালিখি থেকে একথা আমরা সকলেই জানি যে বদ্ধ ঘরে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণের ঝুঁকি খোলা জায়গার চেয়ে অনেক বেশি! সিনেমা হলেও কি আর সেই ঝুঁকি থাকছে না?
advertisement
আরও পড়ুন - LifestyleTips: নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সাধের আচার? অনেক দিন তরতাজা রাখতে মেনে চলুন এই সহজ নিয়মগুলো
থাকছে তো বটেই, সত্যের খাতিরে একথা স্বীকার করে নিতেই হবে! তবে এই প্রসঙ্গে সারা বিশ্বের নিরিখে এক পরিসংখ্যানের দৃষ্টান্তও তুলে ধরা যায়। সেই দৃষ্টান্ত বলছে যে যদি হলে মোটামুটি ভাবে ৩০০ জন মতো দর্শক থাকেন, তাহলে এক্ষেত্রে কোভিড ১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত দর্শক থাকার সম্ভাবনা হল ৩ কী ৪! অবশ্য ওই ৩ কী ৪ জন দর্শকই কিন্তু সবাইকে সংক্রমিত করার পক্ষে যথেষ্ট! তাহলে কি আমরা সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখব না?
দেখব নিশ্চয়ই; শুধু তার আগে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে-
১. ফেস মাস্ক কখনওই খোলা যাবে না, তাহলেই সংক্রমণের ঝুঁকি এক ধাক্কায় দেখতে দেখতে বেড়ে যাবে।
২. সম্ভব হলে এমন শো টাইম বেছে নেওয়া উচিত হবে, যাতে খুব বেশি দর্শকের ভিড় থাকবে না- এক্ষেত্রে তাহলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারটাও মেনে চলতে হবে।
৩. করোনাকালে ছবি দেখতে যাচ্ছি আমরা হাজার হোক, ফলে কিছু নিয়মের কড়াকড়ি তো রাখতেই হবে। তাই সিনেমা হলে অন্য সময়ের মতো কিছু খাওয়া চলবে না।
৪. সব চেয়ে বড় কথা- নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। যাঁদের কোমর্বিটির ঝুঁকি আছে, তাঁদের সিনেমা হলে না যাওয়া-ই উচিত হবে। তাছাড়া, সামান্য জ্বর-জ্বর লাগলেও সেই দিনটা বাদ দিয়ে একেবারে সুস্থ শরীরে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।