ন্যাপকিন ব্যবহারের ফলে ত্বক লাল হয়ে যায় এবং পিরিয়ড র্যাশ হয়। ত্বকের এই লাল ভাব ও র্যাশ দূর হতে ৩ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগে বা অনেক সময় আরও বেশিদিন সময় লেগে যায়। কিন্তু খুবই সহজ উপায় এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন । কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনায়াসেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে ।
advertisement
আরও পড়ুন - ডায়াবেটিসে মদ্যপান ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে! অজান্তেই ঝুঁকি নিচ্ছেন না তো? জানুন
নিমের জল - ২০টি নিমপাতা সামান্য জলে ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে । জল ঠান্ডা হয়ে গেলে ত্বকে লাগাতে হবে । বা স্নানের পরেও ব্যবহার করতে পারেন । এতে মাসিকের সময় হওয়া ত্বকের র্যাশ দূর করতে পারে । নিমপাতা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার উপশম করে । তাই ত্বকের লালভাব,জ্বালা, বা র্যাশ দূর করতে নিমপাতা ব্যবহার করলে উপকার মিলবে । নিমপাতায় থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা নিরাময় করে যার ফলে মাসিকের সময় হওয়া র্যাশের উপশমে নিম পাতা ভাল কাজ করে ।
আরও পড়ুন - প্রসবের পরে এই সমস্যাগুলি বাড়ছে? অবহেলা না করে আজই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
বরফ- বরফ যেকোনও ব্যথা বেদনা উপশম করতে পারে। অনেক সময় পিরিয়ড র্যাশের ফলে জ্বালা অনুভব হয় । এই ক্ষেত্রে বরফ ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় । র্যাশ কমাতে বরফ ব্যবহার করতে একটা পরিষ্কার কাপড়ে বেশ কয়েকটা বরফ রেখে যে অংশে র্যাশ হয়েছে তার চারপাশে কম্প্রেস করতে হবে । এতে র্যাশের জ্বালা থেকে মুক্তি মিলবে ।
নারকেল তেল - নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ত্বকের র্যাশ দূর করতে ভিষণ উপকারী । এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আক্রান্ত স্থানটিকে ঠান্ডা জলে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে । তারপর তুলোয় সামান্য নারকেল তেল নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে । পিরিয়ড র্যাশ দূর করতে কাজ করবে ম্যাজিকের মত ।
এছাড়াও পিরিয়ড র্যাশ দূর করতে কিছু বিষয় মাথা রাখতে হবে। যেমন-প্লাস্টিক প্যাডের পরিবর্তে কটন প্যাড ব্য়বহার করতে হবে । এছাড়াও পিরিয়ড কাপ বা ট্যাম্পন ব্যবহার করতে পারেন । সুগন্ধি প্যাড ব্যবহার না করাই ভাল এতে থাকা কেমিক্যাল ত্বকের ক্ষতি করে । প্রতি ৩ থেকে ৪ ঘন্টা অন্তর ন্যাপকিন পরিবর্তন করতে হবে ।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)